1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তুরস্ক ছেড়েছে জার্মানির সামরিক বাহিনী

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

তুরস্কের ইনচিরলিক বিমান ঘাঁটি থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জার্মানি৷ তুরস্ক জার্মানির সাংসদদের সেখানে অবস্থানরত জার্মান সেনাদের সঙ্গে নিয়মিত সাক্ষাতের অনুমতি না দেয়ায় এই ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটি৷

https://p.dw.com/p/2kwey
ছবি: Picture alliance/dpa/H. Tittel

জার্মান সেনারা এখন জর্ডানে একটি ঘাঁটিতে অবস্থান নিয়েছে৷

জার্মান সেনাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার স্টেফেন ক্লাইনহেয়ার বুধবার জানিয়েছেন যে, তুরস্ক থেকে জার্মানির পর্যবেক্ষক এবং তেলবাহী বিমান জর্ডানের আল-আসরাক বিমান ঘাঁটিতে সরিয়ে নেয়ার কাজটি নজিরবিহীন এবং বড় দায়িত্ব ছিল৷

 জার্মান সেনাদের কোথায় মোতায়েন করা হবে তা নির্ধারণ করে দেশটির সংসদ৷ গত জুনে সংসদে তুরস্ক থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার বিষয়টি অনুমোদন পায়, কেননা, গতবছর তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ানকে সরিয়ে দেয়ার এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে সেদেশে বিদেশিদের উপর বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করা হয়৷ জার্মানির সাংসদরা ইনচিরলিকে অবস্থানরত সেনা সদস্যদের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করতে চাইলেও সরাসরি অনুমতি দেয়নি তুরস্ক সরকার৷ এই নিয়ে জলঘোলা হয়েছে অনেক৷ গত সেপ্টেম্বরে বিশেষ ব্যবস্থায় সাত সাংসদ সেখানে যেতে পারলেও জার্মানির কাছে তা ইতিবাচক মনে হয়নি৷ ফলে দেশটি থেকে সেনাদের পুরোপুরি সরিয়ে নেয়া হলো৷

মূলত সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনীর বিমান হামলা পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিল জার্মানির সেনারা৷ এখন সেই দায়িত্ব জর্ডান থেকে পালন করা হবে৷ সেখানে ২৬০ জন জার্মান সেনার জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছুই তুরস্ক থেকে নেয়া হয়েছে৷ জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী উরসুলা ফন ডেয়ার লায়েন এই বিষয়ে বলেন, ‘‘জার্মান সেনা ইউনিটটিকে তুরস্কের এমন এক ঘাঁটিতে নেয়া হয়েছে, যেটি বেশ কয়েকটি ন্যাটোভুক্ত দেশ ব্যবহার করছে৷’’

উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরেই জার্মানির সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না৷ এর্দোয়ানের বিরুদ্ধে সে দেশের সেনাবাহিনীর ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর কয়েকজন সেনা সদস্য জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন৷ তুরস্ক দাবি করেছে, রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়া সেনারা অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত ছিল৷ পাশাপাশি তুরস্কও সেখানে অবস্থানরত কয়েকজন জার্মানকে গ্রেপ্তার করে

এআই/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)