তুর্কি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থী বেড়েছে
১৮ নভেম্বর ২০১৬জার্মান ফুংকে মিডিয়া গোষ্ঠীর খবর অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর অবধি ৪,৪৩৭ জন তুর্কি নাগরিক রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন, যা কিনা গোটা ২০১৫ সালে যত তুর্কি নাগরিক জার্মানিতে অ্যাসাইলাম চেয়েছিলেন, সেই সংখ্যার আড়াই গুণের বেশি৷ ফুংকে'র রিপোর্ট বলছে, জানুয়ারি থেকে জুন অবধি তুরস্ক থেকে অ্যাসাইলামের অ্যাপ্লিকেশন পড়েছে মাসে প্রায় ৩৫০টি, অক্টোবর অবধি তা বেড়ে দাঁড়ায় মাসে প্রায় ৪৮৫ এবং আগামীতে তা আরো বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে৷
জার্মান পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা ইতিপূর্বে বলেছিলেন যে, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ানের বিরোধীরা জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন৷ জার্মান সংসদে সিডিইউ-সিএসইউ গোষ্ঠীর স্বরাষ্ট্রনীতি বিষয়ক মুখপাত্র স্টেফান মায়ার কিন্তু এবার বলেছেন, ‘‘আমরা তুরস্কের সব সরকার সমালোচক নাগরিককে এখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করতে বলে তুরস্কের সমস্যার সমাধান করতে পারব না৷ (এর্দোয়ান) চান যে বিরোধীপক্ষ উধাও হোক৷''
জুলাইয়ের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর তুরস্ক সম্ভাব্য বিরোধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে৷ অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার সন্দেহে হাজার হাজার চাকরিজীবীকে বরখাস্ত করা হয়েছে, বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ ‘কু'-র প্রচেষ্টার পর থেকে তুরস্কে জরুরি অবস্থা চলেছে৷
ন্যাটোর তুর্কি কর্মকর্তারাও জার্মানিতে আশ্রয় চান
জার্মানিতে ন্যাটোর যেসব সামরিক ঘাঁটি আছে, সেখানকার অধিকাংশ তুর্কি সামরিক কর্মচারী সরকারের নির্দেশ সত্ত্বেও আংকারায় ফিরতে অস্বীকার করেছেন বলে প্রকাশ৷ কাজেই বার্লিন এখন ‘বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে' করণী স্থির করছে৷ ১৫ই জুলাইয়ের ‘কু' প্রচেষ্টার পর তাদের আংকারার সামরিক হেডকোয়ার্টার্সে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়, কিন্তু তারা ফিরতে অস্বীকার করেন৷
ডয়চে ভেলের তুর্কি বিভাগের খবর অনুযায়ী, জুলাই মাস যাবৎ প্রায় ৬০ জন তুর্কি কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী তাদের কর্মকাল সমাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও জার্মানিতে রয়ে গেছেন৷ তাদের অনেককে দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এমনকি পাসপোর্ট বাতিল করার ঘটনাও ঘটেছে৷ ইতিপূর্বে বার্লিনের তুর্কি দূতাবাসের মিলিটারি অ্যাটাশে তুরস্কে ফিরতে অস্বীকার করেন ও সপরিবারে জার্মানিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন৷
এসি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)