তালেবান নিয়ে উদ্বিগ্ন তাজিকিস্তানের সেনা মহড়া
২৩ জুলাই ২০২১আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে তাজিকিস্তানের চিন্তা বাড়ছে। কারণ, প্রতিবেশী আফগানিস্তানে তালেবান সমানে এলাকা দখল করছে। তারা সীমান্তেও চলে এসেছে। এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাহমনের অনুরোধে বৃহস্পতিবার দুই লাখ ৩০ হাজার সেনা দেশের সব চেয়ে বড় কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিল। সেনার সঙ্গে ছিল বিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী। এভাবেই নিজেদের সামরিক শক্তিপ্রদর্শন করেছে তাজিকিস্তান।
প্রেসিডেন্ট উদ্বিগ্ন
তালেবানের অগ্রগতিতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রেসিডেন্ট টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, ''আমাদের প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের, এবং আফগানিস্তান সংলগ্ন আমাদের উত্তর সীমান্তের অবস্থা খুবই জটিল। প্রতিদিন, প্রতি ঘণ্টায় তা আরো জটিল হচ্ছে।'' সেনার প্রতি তার আবেদন, ''আপনারা আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখুন।'' তিনি এর আগেই সীমান্তে অতিরিক্ত ২০ হাজার সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী চলে যাওয়ার পরই তালেবান এখন একের পর এক জেলা দখল করে নিচ্ছে। তারা আঞ্চলিক রাজধানীগুলিও ঘিরে ফেলেছে। সীমান্ত এলাকাতেও তালেবানের সঙ্গে সেনার প্রবল লড়াই হচ্ছে। বেশ কিছু আফগান পালিয়ে তাজিকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছেন।
তালেবানের দাবি
রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তালেবান দাবি করেছে, তারা আফগান সীমান্তের ৯০ ভাগ এলাকা দখল করে নিয়েছে এবং কার্যত তারাই সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করছে। তালেবানের মুখপাত্র দাবি করেছেন, ''তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান এবং ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তানের সীমান্তের ৯০ শতাংশ আমাদের দখলে।'' তবে এই দাবি ঠিক কি না, তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ জুলাইয়ের মাঝামাঝি সমীক্ষা করে দেখেছিল, তালেবান আফগানিস্তানের অর্ধেক জেলা দখল করে নিয়েছে। আফগানিস্তানে চারশর মতো জেলা আছে।
আগামী মাসে রাশিয়া তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া করবে। মস্কো তাজিকিস্তানে তাদের ঘাঁটিতে আরো সেনা ও অস্ত্র পাঠাবে। অ্যামেরিকা যেভাবে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে, রাশিয়া তার কড়া সমালোচনা করেছে। কিছু পশ্চিমা বিশেষজ্ঞের মতে, তালেবান একবার ক্ষমতা দখল করে নিতে পারলে নাগরিক অধিকার ও নারীদের অধিকার বলে কিছু থাকবে না।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)