1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তালেবানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চলবে: অ্যামেরিকা

২৬ জুলাই ২০২১

আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালিয়ে যাবে অ্যামেরিকা। জানালেন মার্কিন সেনা কর্তা।

https://p.dw.com/p/3y2YX
তালেবানের বিরুদ্ধে বিমান হামলার কথা স্বীকার করলেন জেনারেল ম্যাকেঞ্জি।ছবি: Sajjad Hussain/AFP/Getty Images

আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা দেশে ফিরে যাবে। কিন্তু তার আগে আফগান বাহিনীর সমর্থনে এবং তালেবানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চলাচ্ছে অ্যামেরিকা। এক সর্বোচ্চ সেনা কর্তা জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহগুলিতেও বিমান হামলা অব্যাহত থাকবে। তবে অগাস্টের পরও বিমান হামলা হবে কি না, তা তিনি জানাননি।

অ্যামেরিকা ও ন্যাটোর বাহিনী যখন আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তখন তালেবান একের পর এক এলাকা দখল করে নিচ্ছে। তাদের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছে না আফগান সেনা। সম্প্রতি তালেবান আরো সক্রিয় হয়েছে। তারা গ্রামের দিকের এলাকা দখল করে এবার আঞ্চলিক রাজধানীগুলি ঘিরে ফেলেছে।

অ্যামেরিকা কী বলছে

কাবুলে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি একটি প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। সেটা হলো, ৩১ অগাস্টের পরেও কি অ্যামেরিকা এই বিমান হামলা চালাবে? তিনি শুধু বলেছেন, ''অ্যামেরিকা আফগান সেনাকে সমর্থন জানিয়ে যাবে। সেই সমর্থন সাধারণভাবে আকাশপথেই হবে।''

ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, ''গত কয়েকদিন ধরে তালেবানের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকার বিমান হামল চলছে। যদি তালেবান আক্রমণ চালিয়ে যায় তাহলে আগামী সপ্তাহগুলিতে তা আরো বাড়ানোর জন্য আমরা প্রস্তুত।'' ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, ''আগামী দিন ও সপ্তাহগুলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।'' তার মতে, ''আমি মনে করি না, এটা একটা সহজ রাস্তা। কিন্তু আমি এটাও মনে করি না যে, আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ হবে।''

আফগানিস্তানের অবস্থা

রোববারেও কান্দাহারের পাশে লড়াই হয়েছে। গত মাসে সেখান থেকে ২২ হাজার পরিবার বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে গেছেন। কান্দাহারে ছয় লাখ ৫০ হাজার মানুষ থাকেন। এটা আফগানিস্তানের দ্বিতীয় সব চেয়ে বড় শহর। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত এই শহর ছিল তালেবানের ক্ষমতার মূল কেন্দ্র। ম্যাকেঞ্জি স্বীকার করে নিয়েছেন, কান্দাহারে মার্কিন বিমান হানা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, তালেবান সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার করছে। তবে তালেবান নেতারা তা স্বীকার করেননি। কিন্তু মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, যেভাবে সাধারণ মানুষকে আটক করা হচ্ছে, মারা হচ্ছে, তার থেকেই বোঝা যাচ্ছে, তাদের উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছে। ভয় পেয়ে সাধারণ মানুষ তাই ঘর ছাড়ছেন বলেও জানিয়েছে এই মানবাধিকার সংগঠন।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)