তাইওয়ান নিয়ে অ্যামেরিকাকে কড়া বার্তা চীনের
২৮ অক্টোবর ২০২১সম্প্রতি তাইওয়ানকে জাতিসংঘের সদস্য করার কথা বলেছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার কড়া প্রতিক্রিয়া দিল চীন। জানিয়ে দিল, তাইওয়ান চীনের অংশ। ফলে জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাইওয়ানের আলাদা করে যোগ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এখানেই শেষ নয়, চীনের বক্তব্য, এ বিষয়ে অনেক আগেই আলোচনা শেষ হয়ে গেছিল। অ্যামেরিকা আগেও এই প্রস্তাব দিয়েছিল। জাতিসংঘে তখনই এ বিষয়ে সমস্ত আলোচনা হয়ে গেছিল। নতুন করে অ্যামেরিকার এই প্রস্তাব তাই উস্কানিমূলক। অ্যামেরিকা অবস্থান পরিবর্তন না করলে তার প্রভাব চীন-মার্কিন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।
তাইওয়ান একটি স্বশাসিত অঞ্চল। তাদের নিজস্ব সরকার আছে। কিন্তু চীন বরাবরই মনে করে, তাইওয়ান চীনের অংস। এবং ক্রমান্বয়ে তাইওয়ানের সম্পূর্ণ ক্ষমতা চীনের হাতে আসবে। বস্তুত, চীনের ওয়ান চীন নীতির দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশ তাইওয়ান এবং হংকং। তাইওয়ানের প্রশাসন অবশ্য বরাবরই চীনের থেকে নিজেদের আলাদা দেখতে চায়। এবং সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চের সাহায্যও পায় তারা। অ্যামেরিকা এবং ইউরোপের একাধিক দেশ বিভিন্নভাবে তাইওয়ানকে সাহায্য করে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের রাস্তা খুলে রেখেছে। চীন কখনোই তা ভালো চোখে দেখেনি।
সাম্প্রতিককালে তাইওয়ান নিয়ে অ্যামেরিকা-চীনের মধ্যে বিবাদ তীব্র হয়েছে। তাইওয়ানের এয়ারস্পেসে চীন একাধিকবার ফাইটার জেট পাঠিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই ফের তাইওয়ানকে জাতিসংঘের সদস্য করার কথা বলেছে অ্যামেরিকা।
চীনের তাইওয়ান সম্পর্কিত মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বুধবার জানিয়েছেন, 'জাতিসংঘে সার্বভৌম রাষ্ট্রই কেবল অংশ নিতে পারে। ফলে তাইওয়ানের সেখানে সদস্য হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাইওয়ান চীনের অংশ।' এ বিষয়ে আগেই জাতিসংঘে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলে মুখপাত্র দাবি করেছেন। ফলে নতুন করে এ প্রশ্ন তোলার আর কোনো প্রশ্ন ওঠে না বলে জানিয়েছেন তিনি।
তাইওয়ান অবশ্য অ্যামেরিকার বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে। তাইওয়ানের সাই ইং-ওয়েন অ্যামেরিকাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ বলেছেন, ''আন্তর্জাতিক মঞ্চে যোগ দেওয়ার জন্য তাইওয়ানের লড়াই জারি থাকবে।''
এসজি/জিএইচ (এএফপি, ডিপিএ)