শতাধিক বাংলাদেশিকে উদ্ধার
৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩মাছ ধরার নৌকাটিতে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে৷ উদ্ধারকৃতরা কোন জায়গা থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন কিংবা তাদের গন্তব্য কোথায় ছিল, তা অবশ্য জানা যায়নি৷ তবে গত কয়েক মাসে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদগুলো পর্যালোচনা করলে, খানিকটা আন্দাজ করা যায়৷ সাধারণত বাংলাদেশের কক্সবাজার বা টেকনাফ উপকূল থেকে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ডে মাছ ধরার নৌকায় করে যেতে চায় অনেকে৷ উদ্দেশ্যে, বিদেশে গিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করা, সীমাহীন দারিদ্র্য থেকে মুক্তির উপায় খোঁজা৷
তবে এধরনের চেষ্টা অনেক সময়েই ব্যর্থ হয়৷ অনেকের সলিল সমাধি ঘটে সমুদ্রে৷ কেউ ধরা পড়ে নৌবাহিনীর হাতে৷ কেউবা জান নিয়ে কোনমতে ফিরে আসে৷ রবিবার শ্রীলঙ্কার উপকূল থেকে উদ্ধারকৃতরা এমন কোন দলের সদস্য কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ তবে শ্রীলঙ্কার পুলিশের মুখপাত্র প্রিশান্থা জয়াকোডি জানিয়েছেন, তাদের গন্তব্য যে শ্রীলঙ্কা ছিল না, সেটা ইতোমধ্যে পরিষ্কার হয়ে গেছে৷ আর উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৪ জন মিয়ানমারের নাগরিক৷ বাকিরা সবাই বাংলাদেশি৷
এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে ১৩৮ জনকে নিয়ে মাছ ধরার নৌকাটি সমুদ্র গন্তব্যহীনভাবে ভাসছিল গত দশ দিন ধরে৷ একসময় সেটি শ্রীলঙ্কার উপকূলের কাছাকাছি চলে আসে৷ এরপর তা শ্রীলঙ্কার জেলেদের নজরে আসে৷ জেলেরা খবর দেয় সেদেশের নৌবাহিনীকে৷ এরপর তিনটি জাহাজ নিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে সেনারা৷
শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর মুখপাত্র কোসালা ওয়ার্নাকুলাসুরিয়া এই বিষয়ে জানিয়েছেন, ‘উদ্ধারকৃতদের মধ্যে কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷' সমুদ্রে নিরুপায় ও অসহায় অবস্থায় ভেসে থাকা মানুষদেরকে উদ্ধার করতে সময় লেগেছে বিশ ঘণ্টার মতো৷
পুলিশ মুখপাত্র জয়াকোডি জানিয়েছেন, ‘উদ্ধারকৃতদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা অনেক কঠিন৷ কেননা, তারা আমাদের ভাষা বোঝে না, আমরা তাদের ভাষা বুঝি না৷ তাই সংশ্লিষ্ট দূতাবাসের কাছে অনুবাদক চেয়েছি আমরা৷'
সমুদ্র থেকে বেঁচে ফেরারা আপাতত শ্রীলঙ্কাতেই থাকবেন, এমনটাই জানিয়েছেন পুলিশ মুখপাত্র৷ তিনি বলেছেন, তাদেরকে কলম্বোর অস্থায়ী আবাসে সরিয়ে নেওয়া হবে৷ সেই প্রক্রিয়া শুরুর আগে পর্যন্ত তারা ওলুউইল উপকূলে থাকবে৷
এআই/এসি (রয়টার্স)