হকিংয়ের জীবন
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩মাত্র ২১ বছর বয়সে জটিল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হন ‘অ্যা ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইম' খ্যাত বিজ্ঞানী হকিং৷ সেসময় চিকিৎসকরা বলে দিয়েছিলেন যে, তাঁর আর সময় বেশি নেই৷ সেই হকিং এর বয়স এখন ৭১৷ ফিল্মের ট্রেলারে সেই কথাটাই উল্লেখ করেছেন তিনি৷ বলেছেন, ‘‘চিকিসকদের ধারনার চেয়ে পাঁচ দশক বেশি সময় বেঁচে আছি আমি৷ সময়টাকে ভালভাবে কাজে লাগাতে চেষ্টা করেছি৷ যেহেতু যে কোনো দিনই আমার শেষ দিন হতে পারত তাই প্রতিটা মুহূর্তকেই আমি কাজে লাগাতে চেয়েছি৷''
ডকুমেন্টারিতে হকিং এর জীবনের কিছু অজানা কথা ও বিরল দৃশ্য ফুটে উঠেছে৷ রোগাক্রান্ত হওয়ার আগে কেমন ছিলেন, স্কুলজীবনটাই বা কেমন কেটেছে, সব জানা যাবে ডকুমেন্টারি থেকে৷ কঠিন রোগের পাশ কাটিয়ে কীভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের একজন হয়ে উঠলেন তাও দেখানো হয়েছে৷
ব্যক্তি হকিং সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে পরিবারের সদস্যদের কথা থেকে৷ এছাড়া স্মৃতিচারণ করেছেন প্রথম স্ত্রী জেন ওয়াইল্ড - যার সঙ্গে হকিং এর তিন সন্তান রয়েছে৷ হকিং বলেন, ‘‘প্রেমে পড়া তাঁকে এমন কিছু দিয়েছে, যা বাঁচার জন্য দরকার৷''
ঘণ্টা দেড়েকের এই ফিল্মটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এসএক্সএসডাব্লিউ চলচ্চিত্র উৎসবে৷
১৯৭৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘লুকাশিয়ান প্রফেসর অফ ম্যাথমেটিক্স' হিসেবে কাজ করেছেন হকিং৷ এই পদে আগে কাজ করেছেন আরেক বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন৷
জেডএইচ / এসি (এএফপি)