দেশব্যাপী হরতাল
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২আজ দেশ জুড়ে ২৪ ঘন্টার হরতালে সর্বত্রই জনজীবন আংশিক ব্যাহত হয়৷ মূল্যবৃদ্ধি, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণ এবং শ্রম আইন লঙ্ঘনের প্রতিবাদে ১১টি ট্রেড ইউনিয়ন এই ধর্মঘটের ডাক দেয়৷ এর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালায়৷
কলকাতার সিপিএমের অফিসে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা হামলা চালায় বলে জানা গেছে৷ একটি স্থানীয় টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক নিগৃহীত হন৷ রেল ও সড়ক অবরোধের অভিযোগে পুলিশ প্রায় ১০০ জন বনধ সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে৷ মহানগরীতে সরকারি বাস ও ট্রাম খুব কমই চলেছে৷ যেগুলি চলেছে তাতে যাত্রী না থাকার মত৷
তবে রাইটার্স বিল্ডিং, সেক্রেটারিয়েট ও অন্যান্য সরকারি দপ্তরে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল প্রায় ৬৫ শতাংশের মত৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় আগেই সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, সরকারি কর্মচারী কাজে অনুপস্থিত থাকলে চাকরিতে ছেদ পড়তে পারে৷ আজকের ধর্মঘট ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ তাঁর মতে, পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসে এই প্রথম বিরোধীদের ডাকা হরতাল ব্যর্থ হলো৷ পাশাপাশি তিনি একথাও স্বীকার করেন, বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন তাঁর দলের ধর্মঘট ডাকার নীতিতে ভুল ছিল৷
দিল্লিতে হরতাল আংশিক৷ ব্যাংকিং, বিমা ও পরিবহন ব্যাহত হয়৷ অফিসগুলির সামনে চলে পিকেটিং ও স্লোগান৷ দিল্লির কর্মব্যস্ত আইটিও এলাকায় চাক্কা জ্যাম করে ধর্মঘটিরা৷ রাস্তায় বাস ও অটোরিক্সার সংখ্যা ছিল বেশ কম৷ বিদ্যুতের মত অত্যাবশ্যক পরিষেবা সচল রাখতে দিল্লি সরকার অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন ‘এসমা' বলবৎ করে৷
কেরালাতে স্বাভাবিক জনজীবন ব্যাহত হয়৷ বাস ও অটোরিক্সা চলেনি৷ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট সরকার নে ওয়ার্ক, নো পে নিয়ম জারি করেছে৷ অন্ধ্রপ্রদেশের ছবিটাও একই৷ পাঞ্জাব, হরিয়ানায় ব্যাঙ্কিং ও পরিবহন ব্যাহত হয়৷ মধ্যপ্রদেশ ওড়িশা,আসাম, ত্রিপুরায় আংশিক সাড়া৷ মুম্বই-এর আজাদ ময়দানে ট্রেড ইউনিয়ন নেতারা বিক্ষোভ দেখায়৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন