এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট ধর্মঘট ৯ দিনেও মিটলো না
৫ মে ২০১১দিল্লি আদালতের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট ধর্মঘট মেটেনি৷ ম্যানেজমেন্টের নো ওয়ার্ক, নো পে নীতি, কাজে যোগ দেবার আদালতের আদেশ, কোন কিছুকেই পাইলট সংগঠন গুরুত্ব দিতে নারাজ৷ সমাধানসূত্র নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয়ের দুজন কর্তাব্যক্তি ইন্ডিয়ান কমার্শিয়াল পাইলট অ্যাসোসিয়েশন, আইসিপিএর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ দ্বিতীয় দফায় আলোচনায় বসেন৷ অবিলম্বে কাজে যোগ দেবেন এই শর্তে কর্তৃপক্ষ তরফে পাইলটদের ওপর থেকে বরখাস্ত ও সাসপেন্সশনের আদেশ তুলে নেবার কথা বলা হয়৷ কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার মূল পাইলটদের সঙ্গে আইসিপিএ পাইলটদের বেতন ও ভাতায় সমতার দাবিতে অনড় থাকে পাইলট সংগঠন৷ উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসকে এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে মিশিয়ে দেবার পর, দুই সংস্থার পাইলটদের বেতন ও ভাতায় বৈষম্য থেকে যায়৷
এই দাবি সম্পর্কে এয়ার ইন্ডিয়া মুখপাত্র বলেন, বিষয়টি পাঠানো হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ধর্মাধিকারির নেতৃত্বে চার সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটির কাছে৷ মাস তিনেকের মধ্যে কমিটি রিপোর্ট দেবেন৷ ধর্মঘটী পাইলট সংগঠনের মতে, সরকার সাড়ে তিন বছর ধরে এই ইস্যু নিয়ে মাথা ঘামাননি, কাজেই কর্তৃপক্ষকে এবিষয়ে লিখিত আশ্বাস দিতে হবে৷
ধর্মঘট না মিটলে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অন্য বিমান সংস্থার বিমান চালক ও কর্মীসমেত ভাড়া নিয়েছে৷ সেজন্য প্রতি বিমানের জন্য ভাড়া গুনতে হচ্ছে দৈনিক ২৪ লক্ষ টাকা৷ অলাভজনক আন্তর্জাতিক রুটের বিমান অভ্যন্তরীণ রুটে চালাবার কথা ভাবা হচ্ছে৷ অভ্যন্তরীণ রুটেএখন মাত্র ১০% ফ্লাইট চলছে৷ অনেকের প্রশ্ন, এটা এখন একটা প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ৯-দিনের ধর্মঘটে কর্তৃপক্ষের লোকসান দাঁড়িয়েছে দেড়শো কোটি টাকার মত৷ বাতিল করতে হয়েছে ১১০০ ফ্লাইট৷ বেড়েছে যাত্রিদের ভোগান্তি৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক