জুতো আর ব্যাগ
১৩ আগস্ট ২০১৩অধিকাংশ জার্মানই সুগঠিত দেহের অধিকারী৷ বিশেষ করে তরুণ-যুবারা যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন, পোশাক সচেতন৷ আর এটাই ব্যবসায়ীদের বড় সুবিধা৷ একেকটি মৌসুম ধরে দোকান সাজান তারা৷ আগামী শীতে জুতা আর ব্যাগের জন্য তারা বেছে নিয়েছেন কালো এবং ছাই রং৷ এজন্য অবশ্য রীতিমত গবেষণা করেছেন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা৷
জার্মানির জুতা ইন্সটিটিউট (ডিএসআই)-এর ফ্যাশন বিশ্লেষক ক্লাউডিয়া শুলৎস মনে করেন, এই শীতে কালো রং অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হবে৷ পাশাপাশি উষ্ণ রংগুলোও গুরুত্ব পাবে৷
বিশেষজ্ঞদের মতে, কালোর প্রতি মানুষের আগ্রহ বোঝা যাচ্ছিল গত বছর থেকেই৷ অথচ আগের বছরগুলোতে রঙিন জুতা আর ব্যাগের চল ছিল বেশি৷ ক্রেতার মানসিকতার এই পরিবর্তন বুঝতে পেরেছেন ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা৷ তাই এবার পুরোদস্তুর ফিরে আসছে কালো৷
মেয়েদের ফ্যাশনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন চোখে পড়ছে৷ এই শীতে ‘অ্যাংকেল-হাই' জুতার পাশাপাশি বাজারে থাকবে পশমে বোনা জুতা৷ মেয়েদের পছন্দের তালিকায় এই দু'ধরনের জুতাই থাকছে৷ পোশাকের দিকে চিন্তা করলে ছাল ওঠা, দেখতে পুরনো কাপড়চোপড়ের দিকেই ঝোঁক মেয়েদের৷ সবমিলিয়ে আসন্ন শীতে বেশ একটা উগ্র ভাব ফুটে উঠবে মেয়েদের পোশাকে, এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের প্রথম কয়েকমাস জুতা বিক্রেতার জন্য খুব একটা লাভজনক ছিল না৷ কারণটাও প্রকৃতি৷ এবছর বৃষ্টিপাত একটু বেশিই হয়েছে৷ আর সিক্ত আবহাওয়ার কারণে জুতা বিক্রি হয়েছে কম৷ তবে আসন্ন শীত নিয়ে জুতা ব্যবসায়ীরা আশাবাদী, বলেন জিএসআই কর্মকর্তা মানফ্রেড ইয়ুংকার্ট৷
উল্লেখ্য, ইউরোপে বিক্রি হওয়া অধিকাংশ জুতাই তৈরি হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশগুলোতে৷ এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে এশিয়া৷ গোটা বিশ্বে বিক্রি হওয়া জুতার আশি শতাংশই তৈরি হয় এশিয়ায়৷
এআই / এসবি (ডিপিএ)