জার্মান চ্যান্সেলরের কার্যালয়ে বিস্ফোরক
৩ নভেম্বর ২০১০ম্যার্কেলের দপ্তরে ‘এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস'
জার্মান সরকার ইতিমধ্যে জানিয়েছে, যে ম্যার্কেলের দপ্তরে বিস্ফোরকবাহী প্যাকেটের সন্ধান পাওয়া গেছে৷ তবে, সেটিকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে এবং এতে কেউ আহত হয়নি৷ জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস দেমেজিয়ের জানিয়েছেন, ‘এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস'টি দেখতে এথেন্সের সুইস দূতাবাসে পাঠানো আরেকটি প্যাকেটের মতোই৷ বিশেষ করে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এবং বাহ্যিক গড়নে দু'টো একইরকম৷ দেমেজিয়ের জানান, রবিবার এথেন্স থেকে এয়ার মেইলে এটিকে পাঠানো হয়েছে৷
বিস্ফোরকের ধরন
বার্তাসংস্থা ডিপিএ একাধিক নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জানাচ্ছে, পার্সেলটিতে একধরণের ‘ফাস্ট' বিস্ফোরক ছিল, যা মূলত জ্বলে উঠতে এবং পোড়াতে সক্ষম৷ তবে এটি পাইপ বোমার মতো বড় ক্ষতি করতে সক্ষম নয়৷ অবশ্য অন্যান্য সূত্রের দাবি, পার্সেলটিতে শুধু বারুদ রয়েছে৷ বিস্ফোরকের ধরন নিয়ে এখনো তদন্ত করছে পুলিশ৷
জড়িত কারা?
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, গত সপ্তাহে ইয়েমেন থেকে আল-কায়দার পাঠানো পার্সেল বোমার সঙ্গে এই ঘটনার যোগসূত্রের কোন ইঙ্গিতই খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ তবে তিনি সোমবার এথেন্সে দুই ব্যক্তির আটকের খবর উল্লেখ করেন এবং জানান, আটককৃতরা সিরিজ পার্সেল বোমা পাঠানোর সঙ্গে জড়িত৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজিকেও একটি পার্সেল বোমা পাঠানোর চেষ্টা করেছিল আটকরা৷
দূতাবাসে পার্সেল বোমা
মঙ্গলবার এথেন্সের সুইস দূতাবাসে একটি পার্সেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটে৷ এতে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি৷ চিলির দূতাবাসের উদ্দেশ্যে পাঠানো আরেকটি পার্সেল বোমা উদ্ধার করা হয় মেইল ভ্যান থেকে৷ পার্সেল বোমা পাঠানো হয় এথেন্সের জার্মান দূতাবাসের উদ্দেশ্যেও৷ তবে, সেটিকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি কুরিয়ার কার্যালয় থেকে৷ ইতিমধ্যে গ্রিস পুলিশ একাধিক পার্সেল বোমা ধ্বংস করেছে৷ এছাড়া এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চরমপন্থী বামদলের পাঁচ সদস্যের ছবি প্রকাশ করেছে পুলিশ৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম