জার্মানিতে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কড়া লকডাউন
২০ জানুয়ারি ২০২১একমত হলেন চ্যান্সেলার ম্যার্কেল এবং ১৬টি রাজ্যের প্রধান। জার্মানিতে লকডাউনের মেয়াদ ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত বাড়ানো হলো। করোনা ঠেকাতে আরো কড়া ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এখনো জার্মানিতে লকডাউন চলছে। জানুয়ারি পর্যন্ত তা চালু থাকার কথা ছিল। কিন্তু করোনার নতুন স্ট্রেইন জার্মানিতে আসার পর আর কোনো ঝুঁকি নেয়া হয়নি। ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হলো।
অধিকাংশ দোকান, স্কুল, কলেজ, জিম, স্পোর্টস সেন্টার বন্ধ থাকবে। মাস্ক পরা নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়েছে। প্রকাশ্য স্থানে, বিশেষ করে দোকানে যেতে হলে বা যানবাহনে চড়তে হলে ফিল্টার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সরকার চায়, কর্মীরা যথাসম্ভব বাড়ি থেকেই কাজ করুন। সংস্থার কর্তারা সেই অনুমতি দিন।
এমনিতে জার্মানিতে করোনার প্রকোপ সামান্য হলেও কমেছে। ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের উপরেও চাপ একটু কম। কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে করোনার নতুন স্ট্রেইন জার্মানিতে এসেছে। নতুন স্ট্রেইন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা।
রাজ্যের প্রধানদের সঙ্গে বৈঠকের পর ম্যার্কেল বলেছেন, ''ভাইরাসের বিপদ দূর করতে এখন কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে। আমরা আবার মানুষকে কিছু কড়া ব্যবস্থার মধ্যে থাকতে বাধ্য করছি। সাবধানতাকে অগ্রাধিকার দিতেই হবে।''
নতুন নিয়ম
-দোকানে যেতে হলে বা পাবলিক ট্র্যান্সপোর্টে চড়তে হলে ফিল্টার মাস্ক ব্যবহার করতেই হবে। ভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষার জন্য এই ব্যবস্থা।
-কর্মীরা যত বেশি সম্ভব বাড়িতে থেকে কাজ করবেন। সংস্থার প্রধানরা যেন ১৫ মার্চ পর্যন্ত কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে দেন।
চালু নিয়ম
-অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন সব দোকান ও পরিষেবা বন্ধ থাকবে।
-ডে কেয়ার সেন্টার বন্ধ থাকবে। বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের দেখভালের জন্য সবেতন ছুটি পাবেন।
-প্রকাশ্যে অ্যালকোহল পান করা যাবে না।
-চার্চ, সিনাগগ, মসজিদে ধর্মীয় অনুষ্ঠান হতে পারে, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
-স্কুল মূলত বন্ধ থাকবে, তবে ডিসট্যান্স লার্নিং চলবে।
ম্যার্কেল বলেছেন, ''ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে করোনা বিধিনিযেধ নিয়ে সমন্বয় দরকার। যদি দেশগুলি আলাদা ব্যবস্থা নেয়, তা হলে জার্মানি আবার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কথা ভাববে। আমরা চাই না, অন্য দেশ আলাদা পথে হাঁটছে বলে, সেখান থেকে জার্মানিতে সংক্রমণ চলে আসুক।''
জিএইচ/এসজি(ডিপিএ, রয়টার্স, এপি)