জার্মানিতে ছয় চাকরির একটি পাবেন শরণার্থীরা
২৬ মার্চ ২০১৮কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান সংস্থার ‘ইন্সটিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চ’ আইএবি শুক্রবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ এতে বলা হয়, চলতি বছর ৪৬ মিলিয়ন মানুষ চাকরিরত থাকবেন, যা যুদ্ধ পরবর্তী জার্মানির জন্য একটি রেকর্ড৷ একই সময় কর্মহীনের সংখ্যা কমে ২ দশমিক ৩ মিলিয়নে দাঁড়াবে, যা ১৯৯০ সালে দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের পর সবচেয়ে কম৷
আইএবি প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক এনজো ভেবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘সাধারণভাবে বললে, গত কয়েক বছরে আমরা জার্মানিতে চাকরির যে ঊর্ধ্বগতি দেখছি, অভিবাসন ছাড়া সেটা সম্ভব হতো না৷’’
অভিবাসীরা তাঁদের দেশে যে শিক্ষা অর্জন করেছেন, সেই সনদের স্বীকৃতি দেয়ার প্রক্রিয়া যদি আরও সরল করা যায়, তাহলে আরও বেশি সংখ্যক অভিবাসী চাকরি পেতে পারেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷
আইএবির প্রতিবেদনে আরও একটি ভালো খবর দেয়া হয়েছে৷ এতে বলা হয়, যে ধরনের চাকরির সংখ্যা বাড়ছে, তার গুনগত মানও ভালো৷ অর্থাৎ যেসব সংস্থা এ ধরনের চাকরি সৃষ্টি করছে, আর যাঁরা চাকরি পাচ্ছেন, উভয়েই সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থায় অবদান রাখছে৷ অন্যদিকে, ‘মিনিজব’ বলে পরিচিত যে ধরনের চাকরি সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থায় অবদান রাখতে পারে না, সে ধরনের চাকরির সংখ্যা একই থাকবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়৷
২০১৫ সাল থেকে জার্মানিতে বিপুল পরিমাণ শরণার্থী প্রবেশ করায় ঘণ্টাপ্রতি বেতনের পরিমাণ কমে যাওয়ার আশংকা করেছিলেন অনেকে৷ তবে আইএবির প্রতিবেদনে সেই শংকা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে৷ ‘‘জার্মানিতে অনেক অভিবাসীর আগমন বেকারত্বের হার, জিডিপি ও বেতনের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেনি,’’ আরেক জরিপে লিখেছেন ভেবার ও তাঁর সহকর্মী লেখক জাবিনে ক্লিঙ্গার৷
জেফারসন চেজ/জেডএইচ