জলবায়ু তহবিল নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির আশঙ্কা
৩০ এপ্রিল ২০১১তবে কোন একক দেশের জন্য নয়, বিশ্বের সব দেশের জন্যই এই সতর্ক বার্তা৷ ঢাকা থেকে এই রিপোর্ট প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ৷ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রধান হিউগেট লাবেল রিপোর্টে বলেন, জলবাযু তহবিল যেহেতু অনেক বড় অংকের, তাই এখানে দুর্নীতির সুযোগও অনেক বেশি থাকবে৷ এজন্য সবার অংশগ্রহণে এই তহবিল ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে৷ নয়তো এই তহবিল ক্ষতিগ্রস্তদের কাজে আসবেনা৷
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এই রিপোর্টের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, সতর্ক সংকেত সবার জন্য৷ যারা তহবিল দেবেন এবং যারা ব্যবহার করবেন উভয়ের জন্য৷ কারণ প্রতিশ্রুত অর্থ না দেয়াও অনিয়ম৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশে জলবায়ু তহবিল ব্যবহারে প্রতিষ্ঠান মনোনয়নের ক্ষেত্রে কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে৷
অর্থনীতিবিদ এবং জলবায়ু তহবিল নিয়ে আন্তর্জাতিক আলোচানায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, তহবিল নিয়ে উন্নত বিশ্ব ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে৷ দুই বছরের মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার কথা থাকলেও ২ বছর পার হয়ে গেছে কিন্তু দেয়নি৷ একশ' বিলিয়ন ডলারের তহবিলও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে৷
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের সহায়তার দিকে তাকিয়ে থাকেনি৷ নিজস্ব অর্থায়নে ২০০ মিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিল গড়ে তুলেছে৷ তিনি এই অর্থ স্বচ্ছতার সঙ্গে ব্যয়ের নিশ্চয়তা দেন৷
রিপোর্ট প্রদাণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: জান্নাতুল ফেরদৌস