মেয়ের মৃত্যুর খবর জানালো আইএস
১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫নিহত মেয়েটির নাম কায়লা জিন মুলার৷ ২৬ বছর বয়সি তরুণীটিকে সিরিয়ার আলেপ্পো থেকে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে বন্দি করে ইসলামিক স্টেট (আইএস)৷ প্রায় আড়াই বছর ইসলামি জঙ্গি সংগঠনটির কাছে বন্দি থাকলেও এর মধ্যে একবার তাঁর লেখা চিঠি পেয়েছে কায়লার পরিবার৷ চিঠিটি গোপনে লিখেছিলেন কায়লা৷ আইএস-এর কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া এক বন্দি গোপনে সেই চিঠি নিয়ে এসে পৌঁছে দিয়েছিলে কায়লার পরিবারের কাছে৷ চিঠিতে এনজিও কর্মী জানিয়েছিলেন, জঙ্গিরা তাঁকে অন্ধকারে আটকে রেখে মৃত্যুর ভয় দেখালেও মানসিকভাবে তিনি শক্ত আছেন৷
কিন্তু কায়লার বাবা-মা অবশেষে জানতে পেরেছেন তাঁদের একমাত্র সন্তান আর বেঁচে নেই৷ আইএস তাঁদের চিঠি লিখে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে৷ চিঠির সঙ্গে কায়লা জিন মুলারের নিথর মৃতদেহের ছবিও পাঠিয়ে দাবি করা হয়, সম্প্রতি জর্ডান তাদের এক পাইলটের হত্যার প্রতিশোধ নিতে যে আইএস-এর ওপর যে উপর্যুপরি বিমান হামলা শুরু করেছে সেই হামলাতেই প্রাণ গেছে কায়লার৷
কয়েকদিন আগেই জর্ডানের বৈমানিক আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারার দৃশ্যের ভিডিও প্রচার করে আইএস৷ পাল্টা ব্যবস্থা নিতেও দেরি করেনি জর্ডান৷ আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে হত্যার ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পরই এক নারীসহ দুই জঙ্গিকে ফাঁসিতে ঝোলায় জর্ডান সরকার৷ শুরু হয় আইএস-এর বিরুদ্ধে আরো জোরালো বিমান হামলা৷ ইরাক ও সিরিয়ার বেশ বড় একটি অংশ দখল করে নেয়া আইএস বলছে, কায়লা জিন মুলার সেরকম এক বিমান হামলাতেই মারা গেছেন৷
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য আইএস-এর এই দাবি সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করেছে৷ মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তুরস্কের এক এনজিও-র হয়ে কাজ করতে যাওয়া কায়লার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন৷ হোয়াইট হাউস থেকে প্রচারিত এক বিবৃতিতে ওবামা বলেছেন, ‘‘যত সময়ই লাগুক, যুক্তরাষ্ট্র অবশ্যই কায়লার বন্দি এবং নিহত হওয়ার জন্য দায়ী সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে সুবিচার করবে৷''
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স,এএফপি,এপি)