এনএসএ-র কোপদৃষ্টিতে শ্র্যোডার
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪সরকারি এনডিআর বেতার ও টেলিভিশন সংস্থা এবং ‘স্যুডডয়চে সাইটুং' পত্রিকার যৌথ গবেষণায় এই নতুন ও চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ পেয়েছে: জার্মান চ্যান্সেলর ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ রাজনীতিকদের টেলিফোনের ওপর মার্কিনিদের আড়ি পাতার কাজ শুধু ২০১৩ সালের ঘটনা নয়, সে কাজ তার দশ বছর আগেই শুরু হয়েছে, চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের নেতৃত্বাধীন লাল-সবুজ সরকারের আমলে৷
সালটা ছিল ২০০৩, ইরাক যুদ্ধ সবে শুরু হতে চলেছে, শ্র্যোডার সরকার যা-তে অংশগ্রহণ করা পুরোপুরি নাকচ করেন৷ সবুজদের ইয়শ্কা ফিশার তখন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ ফলে ফিশারের টেলিফোনের ওপরেও আড়ি পাতা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ এবং যথারীতি: কোন কোন রাজনীতিকের টেলিফোনে কী পরিমাণ আড়ি পাতা হয়েছে, তা বলার ক্ষমতা একমাত্র এনএসএ কিংবা খোদ এডোয়ার্ড স্নোডেনেরই আছে৷
আর যে জার্মান রাজনীতিক – সবুজ দলের সাংসদ হান্স-ক্রিস্টিয়ান স্ট্রোবেলে – সম্প্রতি মস্কোয় গিয়ে স্নোডেনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন, তিনিও এনডিআর ও স্যুডডয়চে সাইটুং-এ প্রকাশিত খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন৷ ইরাক যুদ্ধের আমলে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সবুজ দলের ইয়শ্কা ফিশারের টেলিফোনের ওপর আড়ি পাতার কথা স্ট্রোবেলের অজ্ঞাত নয়৷
জার্মান মিডিয়ার খবর অনুযায়ী, মার্কিন ন্যাশনাল সিকিওরিটি এজেন্সি বা এনএসএ ২০০২ সাল থেকেই তাদের আড়ি-পাতা ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানের তালিকায় গেয়ারহার্ড শ্র্যোডারের নাম দেখিয়ে আসছে – ৩৮৮ নম্বরে৷ মজার কথা, স্নোডেনের তাঁবে থাকা একটি সাম্প্রতিক নথিতেও ‘‘২০০২-৩৮৮'' এই সংখ্যাটিতেই বর্তমান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের টেলিফোনের ওপর আড়ি পাতার উল্লেখ আছে৷ গোড়ায় এই তথ্য থেকে ধরে নেওয়া হয়েছিল যে, ম্যার্কেলের টেলিফোনের ওপর ২০০২ সাল থেকে আড়ি পাতা হচ্ছে – যদিও আসল ব্যাখ্যা হলো: চ্যান্সেলর বদলেছে, আড়ি পাতাও চলেছে এবং ফাইল নাম্বার দৃশ্যত অপরিবর্তিতই থেকেছে৷
সাবেক চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার পুরো ঘটনাবলীর কথা শুনে বলেছেন: ‘‘সে আমলে আমি ভাবতে পারতাম না যে, মার্কিন গুপ্তচর বিভাগ আমার টেলিফোনে আড়ি পাতছে৷ কিন্তু আজ আর আমি এই খবরে আশ্চর্য হচ্ছি না৷''
এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)