যুক্তরাষ্ট্রে ফিরবেন না স্নোডেন
২৮ জানুয়ারি ২০১৪রবিবার জার্মানির টেলিভিশন চ্যানেল এআরডি-তে স্নোডেনের একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়৷ গত বছর থেকে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে রাশিয়ায় রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক স্নোডেন৷ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসএ-র গোয়েন্দারা সবার ফোনে আড়ি পাতেন, ইন্টারেনট থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেন – এ বিষয়টি ফাঁস করে দেয়ার পরই দেশ ছাড়েন তিনি৷ অনেক দেশে আশ্রয় চাইলেও শেষ পর্যন্ত শুধু রাশিয়াই তাঁর আবেদনে সাড়া দেয়৷ রাশিয়ায় বসবাস শুরু করার পর থেকে কোনো সাক্ষাৎকার দেননি স্নোডেন৷ শেষ পর্যন্ত তাঁর নীরবতা ভেঙেছে জার্মানির এআরডি-র চ্যানেল৷ চ্যানেলটির সাংবাদিক হারবার্ট সাইপেল মস্কোর এক হোটেলে কথা বলেন স্নোডেনের সঙ্গে৷ তাঁদের সেই কথোপকথনের অংশ বিশেষ নিয়েই রবিবার আধ ঘণ্টার এক সাক্ষাৎকার প্রচার করে এআরডি৷
সাক্ষাৎকারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ৩০ বছর বয়সি স্নোডেন৷ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান জেমস ক্ল্যাপার কংগ্রেসে সরাসরি মিথ্যে বলার পরই তাঁর মনে হয়েছিল গোয়েন্দাদের আড়ি পাতার বিষয়টি সবাইকে জানানো দরকার৷ তিনি বলেন, ‘‘জনগণ এবং আইন প্রণেতাদের যেখানে গোয়েন্দাদের ওপর আস্থা থাকা দরকার, সেখানে গোয়েন্দা সংস্থা যদি মনে করে চাইলেই তারা মিথ্যে বলতে পারে, তাহলে তাদের রক্ষা করার পক্ষে কোনো যুক্তি থাকে না৷''
রবিবার রাতে প্রচারিত সাক্ষাৎকারে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ফোনে এনএসএ গোয়েন্দাদের আড়ি পাতার বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন স্নোডেন৷ তাঁর কাছে শেষ প্রশ্ন ছিল, যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছেন কিনা৷ স্নোডেন জানান, ১৯১৮ সালের গুপ্তচরবৃত্তি বিষয়ক আইনের আওতায় বিচারের মুখোমুখি হতে দেশে ফেরার কোনো ইচ্ছাই তাঁর নেই৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘প্রেসিডেন্ট বলতে পারেন, এসে বিচারের মুখোমুখি হও, কিন্তু এটা তো সবাই জানে, বিচারটি হবে সাজানো একটা নাটক৷''
এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)