চীনের যন্তর-মন্তর ঘরে ১০ লাখ উইঘুর
১৯ ডিসেম্বর ২০১৯গত ২৪ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট (আইসিআইজে) উইঘুর অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশে চীন সরকারের গণগ্রেপ্তার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে৷ বলা হয়, উইঘুরদের নিশ্চিহ্ন করতে চীন সরকারের এই ‘নীল নকশা' দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের সবচেয়ে বড় ঘটনা৷ বন্দিশিবিরে রীতিমত মগজ ধোলাই করা হচ্ছে এবং বন্দিদের কঠোর অনুশাসন মেনে চলতে বাধ্য করা হচ্ছে৷
আইসিআইজের হাতে পড়া সরকারি নথিগুলোর বেশিরভাগই ২০১৭ সালের৷ যেগুলোকে পুরো মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীন৷
চীন সরকারের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ভিক্টোর গাও বলেন, ‘‘এটা বন্দিশিবির নয়৷ তাদের আটকে রাখা হয়েছে ঠিকই, তবে এটাকে আপনি বরং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বলতে পারেন৷ সরকার চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদকে এভাবে দমন করতে চাইছে৷
‘‘জিনজিয়াংয়ে উগ্রবাদের বিস্তার যে মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ উগ্রবাদের নানা পর্যায়ে জিনজিয়াংয়ের জনগণকে এসব থেকে বের করে আনতে কিছু কৌশল গ্রহণের প্রয়োজন ছিল৷''
লন্ডনে ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এভাবেই সরকারের পক্ষে সাফাই গান গাও৷
চীন সরকারের দাবি, শিবিরগুলোতে উগ্রবাদ প্রতিরোধে সেবামূলক শিক্ষা দেওয়া হয়৷ সেখানে বন্দিদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং তাদের ধর্মের প্রতি ‘পূর্ণ সম্মান' দেখানো হয়৷
তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ কথা বলছে না৷ জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ২৩টি দেশ থেকেও উইঘুরদের গণহারে বন্দিশিবিরে ধরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে চীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে৷
চীনের গোপন জেলখানা বন্ধ করার দাবি মানবাধিকারবাদীদের
পাল্টা যুক্তি দেখিয়ে গাও বলেন, ‘‘জিনজিয়াংয়ে চরমপন্থা ও উগ্রবাদ দমনে চীন সরকার যে কৌশল গ্রহণ করেছে বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশ তা সমর্থন করেছে৷ মানবাধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ কিন্তু চীনের কাছে সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াইও সমান গুরুত্বপূর্ণ৷''
এ বিষয়ে যে দেশগুলো চীনকে সমর্থন দিয়েছে তার মধ্যে রাশিয়া, পাকিস্তান ও সার্বিয়ার নাম আছে৷
এসএনএল/কেএম