1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের গোপন জেলখানা বন্ধ করার দাবি মানবাধিকারবাদীদের

১৩ নভেম্বর ২০০৯

মানবাধিকার আর চীন৷ এইদুটি বিষয়কে কিছুতেই মেলানো যাচ্ছে না৷ চীনের অভ্যন্তরে নতুন নতুন মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ দেখা যাচ্ছে নিয়মিত৷ সাম্প্রতিক সংযোজন গোপন জেলখানা৷

https://p.dw.com/p/KVgo

মানবাধিকারবাদী নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সাম্প্রতিকতম রিপোর্ট আবার একপ্রস্থ চীনের সমালোচনাই৷ রাজধানী বেইজিং থেকে শুরু করে দেশের বহু জায়গায় চীন তৈরি করে রেখেছে একাধিক গোপন জেলখানা, বলছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ সেইসব জায়গায় সরকার বিরোধী আন্দোলনকারী কিংবা সরকারের সমালোচকদের বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে৷ তাদের কারও কারও অবস্থা সংকটজনক৷ এইসব জেলখানাগুলি অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷

Uiguren und Türken demonstrieren in der Türkei
চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেইছবি: dpa

এমনকি কোথায় কোথায় কীভাবে চালানো হচ্ছে এইসব জেলখানা, তার বিশদ তথ্যও জানাতে ভোলেনি মানবাধিকারবাদী নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ জানা গেছে, সরকারি হোটেলের কূট কামরায়, নার্সিংহোমে চিকিত্সার নাম করে আর বেশ কিছু পাগলা গারদে আটক রয়েছেন একাধিক গণতন্ত্রবাদী মানুষ৷ তাঁদের সকলের বিরুদ্ধেই নেমে এসেছে রাজরোষ৷ কারণ, তাঁরা সরকারের বিরোধিতা করেছেন কোন না কোন ভাবে৷ এঁদের কোন বিচারের ব্যবস্থাও হচ্ছে না৷ ক্ষেত্রবিশেষে অত্যাচারের বা শারীরিক নির্যাতনের শিকারও হতে হচ্ছে৷

চীন সরকারের এই তথাকথিত ফ্যাসিস্ট আচরণের সমালোচনা অবশ্য শোনা গেছে আন্তর্জাতিক মহলেও যথেষ্ট৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন চীনের অভ্যন্তরের মানবাধিকার পরিস্থিতির তীব্র সমালোচনা করে আসছে বহুদিন ধরেই৷ সাম্প্রতিক অতীতে উইঘুর উপজাতীয়দের দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে একের পর এক লোককে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে চীন৷ তার সমালোচনাও কম শোনা যায় নি৷

মানবাধিকারবাদী নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানাচ্ছে, চলতি বছরের এপ্রিল আর মে মাসে তারা চীনের ৪৪ টি শহরে তদন্ত চালিয়ে অনেকগুলি গোপন বন্দীশালার সন্ধান পেয়েছে৷ সেইসঙ্গে তারা সাক্ষাত্কার নিয়েছে ৩৮ জন বন্দীরও৷ যাঁরা প্রত্যেকে নিজেদের দুর্দশার কথা জানিয়েছেন৷ বলেছেন, কীভাবে অন্যায় জুলুম আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের চাপ সহ্য করতে হচ্ছে তাঁদের৷

প্রতিবেদন- সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা - রিয়াজুল ইসলাম