1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চীনের প্রতি ভাবমূর্তি বদলানোর আহ্বান

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চীনের বৈরি মনোভাবের কারণে ইউরোপ সে দেশের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কাটানোর যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে চীনা নেতৃত্বকে ভাবনাচিন্তা করতে বললেন ইইউ কর্মকর্তা৷

https://p.dw.com/p/4WlGv
China Peking | Flaggen an der "Great Hall of the People"
ছবি: VCG/IMAGO

ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার আগে থেকেই পশ্চিমা জগতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক শীতল হতে শুরু করেছিল৷ যুদ্ধের সময় ‘নিরপেক্ষ' থাকার অবস্থান সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে বেইজিংয়ের আরো নিবিড় সম্পর্ক সেই ব্যবধান বাড়িয়ে তুলেছে৷ তাইওয়ানের উপর দাবি আরো জোরালো করে চীন দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে তুলছে৷ চীনের সঙ্গে বাণিজ্য এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমদানির ক্ষেত্রে সে দেশের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কাটাতে তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে অ্যামেরিকা ও ইউরোপ৷ তবে সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন করার বদলে ‘ডি-রিস্কিং' বা অতিরিক্ত নির্ভরতার ঝুঁকি কাটাতে চাইছে পশ্চিমা বিশ্ব৷

এমনই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বেইজিং সফর করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিশনর ভালদিস ডোমব্রভস্কিস৷ বেইজিং-এর সিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ভাষণে তিনি বলেন, চীনের নেতৃত্ব ঝুঁকির ধারণা কমাতে অনেক কিছু করতে পারে৷ শুধু ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সঙ্গে আরো ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই ইউরোপে দুশ্চিন্তা ও অস্বস্তি বাড়াচ্ছে না৷ চীনে ইউরোপীয় ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলির ন্যায্য অধিকারের অভাব এবং সে দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশের রাজনীতিকরনও সম্পর্কের অবনতির কারণ হয়ে উঠছে বলে ডোমব্রভস্কিস ইঙ্গিত করেন৷ বিশেষ করে চলতি বছরে চীন কয়েকটি আইন প্রণয়ন করে  জাতীয় স্বার্থ ও গুপ্তচরবৃত্তি প্রতিরোধের দোহাই দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য জগতের উপর আরো নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে, সে বিষয়ে তিনি দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন৷ তাঁর মতে, এমন অবস্থায় ইউরোপীয় কোম্পানিগুলির পক্ষে চীনে সক্রিয় থাকা আরো কঠিন হয়ে উঠছে৷ সোমবার ডোমব্রভস্কিস চীনা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করছেন৷ ইইউ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যের ঘাটতি আরো বেড়ে চলায় তিনি দুশ্চিন্তা প্রকাশ করছেন৷

অন্যদিকে চীনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মনোভাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে৷ বিশেষ করে ‘ডি-রিস্কিং' নীতির মাধ্যমে চীনের উপর নির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ চীনে ক্ষোভ সৃষ্টি করছে৷ ইইউ বাণিজ্য কমিশনরের কাছে সে বিষয়ে কৈফিয়ত চাইছে সে দেশ৷ ডোমব্রভস্কিস অবশ্য তাঁর ভাষণে জানিয়ে দিয়েছেন, যে কোনো বিশেষ দেশের ক্ষেত্রে এমন নীতি কার্যকর করছে না ইইউ৷ বরং সার্বিকভাবে অতিরিক্ত নির্ভরতার ঝুঁকি কমাতেই একাধিক উৎস থেকে গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি করতে চায় এই জোট৷ রাশিয়া থেকে তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানি কমানোর মাধ্যমেও সেই নীতি কার্যকর করা হচ্ছে৷

প্রতিযোগিতার বাজারে ন্যায্য পরিবেশ রক্ষা করতেও ইইউ উদ্যোগ নিচ্ছে৷ চীন থেকে সস্তার ইলেকট্রিক যান যাতে ইউরোপের বাজার ছেয়ে না যায়, সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনে শুল্ক চাপানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চায় ইইউ৷ রাষ্ট্রীয় ভরতুকি নিয়ে গাড়ির দাম কৃত্রিমভাবে কমিয়ে ইউরোপের বাজার দখল করার চেষ্টা ন্যায্য নয় বলে মনে করে এই রাষ্ট্রজোট৷ চীন এমন মনোভাবের কড়া সমালোচনা করছে৷ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ‘প্রোটেকশনিজম' বা সংরক্ষণবাদের বিরোধিতা করছে বেইজিং৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান