1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আশিক ও তাঁর পরিবারের জীবনসংগ্রাম

২৫ এপ্রিল ২০১৭

স্ত্রী রাহিনুর আর পাঁচ বছরের ছেলে হিমেলকে নিয়ে আশিকের সংসার৷ বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করতে গিয়ে মাস চারেক আগে চাকরি হারান পোশাক শ্রমিক আশিক ও তাঁর স্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/2brT1
Bangladesch - Vier Jahre nach dem Fabrikeinsturz von Rana Plaza
ছেলে হিমেলকে খাওয়াচ্ছেন আশিকছবি: DW

আশুলিয়ার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন তাঁরা৷ গত ডিসেম্বরে বিক্ষোভ করায় সেখানকার ৫৫টি পোশাক কারখানা প্রায় সপ্তাহখানেক বন্ধ ছিল৷ পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে৷ তার কয়েক ঘণ্টা পর বাসা থেকে আশিককে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ৷ শ্রমিক ইউনিয়নের একজন কর্মী ছিলেন আশিক৷ প্রায় দুই মাস তাঁকে কারাগারে আটকে রাখা হয়৷ এরপর ছাড়া পান৷ আশিক ছাড়াও বিক্ষোভ করায় চাকরি হারান প্রায় দেড় হাজার পোশাক শ্রমিক৷ এছাড়া আশিকের মতো ৩৫ জন শ্রমিক ইউনিয়ন কর্মীকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়৷ ফলে তাঁদের কোথাও চাকরিতে নেয়া হচ্ছে না৷

তাই গত চার মাস ধরে আশিকের সংসারে কোনো আয় নেই৷ পাঁচ বছরের ছেলে হিমেল কয়েক সপ্তাহ ধরে কিডনি সমস্যায় ভুগলেও চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে পারছেন না তিনি৷ আশিক ও তাঁর স্ত্রী’র ধারণা, অর্থের অভাবে পর্যাপ্ত খাবার খেতে না পারায় অপুষ্টিতে ভুগছে তাঁদের সন্তান৷

বিক্ষোভ করলে চাকরি যায়

বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ কাজ করছেন৷ এর মধ্যে পাঁচ শতাংশেরও কম শ্রমিক সংগঠিত কোনো শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য৷ এই ইউনিয়নগুলো বেশ দূর্বল৷ বরং পোশাক কারখানার মালিকরা বেশ প্রভাবশালী৷ ফলে বেতন বাড়ানোর মতো দাবি করে শ্রমিকরা সুবিধা করতে পারেন না৷ উল্টো অনেককে চাকরি হারাতে হয়৷ যেমনটা হয়েছে আশিকের ক্ষেত্রে৷

বেতন বাড়ানোর দাবি উঠলেই পোশাক কারখানার মালিকরা বলেন, এতে করে পোশাক তৈরির খরচ বেড়ে যাবে৷ ফলে বিদেশি ক্রেতারা অন্য দেশে চলে যেতে পারে বলে দাবি তাঁদের৷

জার্মানির ফ্রিডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ কার্যালয়ের কর্মকর্তা ফ্রান্সিসকা কর্ন ডয়চে ভেলেকে বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের জন্য ন্যায্য বেতন ও তাঁদের ইউনিয়ন করার অধিকার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে৷

প্রশিক্ষণ

ফ্রিডরিশ এবার্ট ফাউন্ডেশনের সহায়তায় বাংলাদেশের ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে পোশাক শিল্পের তরুণ সংগঠকদের জন্য তিন মাসের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে৷ উদ্দেশ্য - শ্রমিক সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করা এবং পোশাক কারখানার মালিকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য শ্রমিক নেতাদের দক্ষতা বাড়ানো৷

মারিয়া সিমারমান/জেডএইচ