1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চরম দক্ষিণপন্থিদের তাণ্ডবের পেছনে ‘ভুয়া খবর'

২৯ আগস্ট ২০১৮

‘ফেক নিউজ' বা ভুয়া খবর ছড়িয়ে জার্মানির কেমনিৎস শহরে দাঙ্গার পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন৷ ঘটনার পর যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/33vkT
ছবি: picture-alliance/AP Photo/J. Meyer

জার্মানির পূর্বাঞ্চলে কেমনিৎস শহরে ৩৫ বছর বয়সি এক জার্মান ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের জের ধরে রবিবার ও সোমবার চরম দক্ষিণপন্থিদের তাণ্ডবের ফলে গোটা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে৷ বিশেষ করে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷

স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মিশায়েল ক্রেচমার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোলান্ড ভ্যোলার বলেছেন, শুধু স্থানীয় চরম দক্ষিণপন্থিরা নয়, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়িয়ে জার্মানির অনেক রাজ্য থেকে সমমনস্ক মানুষকে কেমনিৎস শহরে আকর্ষণ করা হয়েছে৷ এমনকি কিছু ফুটবল হুলিগান গোষ্ঠীও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে৷ তাঁদের মতে, অতীতে এমন মাত্রার কার্যকলাপ দেখা যায় নি৷ উল্লেখ্য, প্রায় ৬,০০০ চরম দক্ষিণপন্থি প্রতিবাদকারীকে শহরে অরাজকতা ছড়াতে দেখা গেছে৷

রবিবার ভোরে নিহত ব্যক্তি নাকি এক নারীর সম্মানরক্ষার জন্য হস্তক্ষেপ করেছিলেন বলে ‘ফেক নিউজ' বা ভুয়া খবর ছড়ানো হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করছে৷

ইরাক ও সিরিয়ার দুই শরণার্থী ছুরির আঘাতে তাঁকে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে৷ সেই দুই ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে৷ পুলিশ সূত্র অনুযায়ী দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসার সময় এই ঘটনা ঘটে৷ কেমনিৎস শহরের এক চরম দক্ষিণপন্থি গোষ্ঠী ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ভুয়া তথ্য ও নানা রকম ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব ছড়িয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে৷

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-সহ অনেক নেতা রবিবার ও সোমবারের ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন৷ ঘটনাবলির ভিডিও প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ম্যার্কেল বলেন, দেশে আইনশৃঙ্খলার ভিত্তিতে যে শাসনব্যবস্থা রয়েছে, তার সঙ্গে এমন আচরণ খাপ খায় না৷

জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেন, ছুরিকাঘাতের ঘটনার ফায়দা তুলে রাজপথে বিদেশি বিদ্বেষ ও হিংসা ছড়ানো হয়েছে৷ তিনি অপরাধীদের শনাক্ত করে আইনি প্রক্রিয়ার ডাক দিয়েছেন৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে রাজ্য সরকারের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন৷

উগ্র দক্ষিণপন্থিদের প্রতিবাদ বিক্ষোভে অসংখ্য সাধারণ মানুষও যোগ দিয়েছিলেন৷ এমনকি মিছিলে অনেককে নিষিদ্ধ নাৎসি অভিবাদন করতে দেখা গেছে৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার কেমনিৎস শহরে এক জনসভায় অংশ নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করতে চান৷ তিনি মানুষের দুশ্চিন্তা ও ক্ষোভের কথা শুনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে চান বলে জানিয়েছেন৷ সেইসঙ্গে কড়া হাতে চরম দক্ষিণপন্থিদের মোকাবিলারও অঙ্গীকার করেছেন তিনি৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য