1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চকোলেটে মেঘান মার্কল

২৩ মে ২০১৮

মেঘান মার্কলকে চকোলেট-আবৃত মার্শমেলোর সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জার্মান কনফেকশনারি সংস্থা সুপার ডিকমান৷ ফেসবুকে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট করার জন্য জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে৷

https://p.dw.com/p/2yAAb
Facebook Screenshot Super Dickmann's
ছবি: Facebook/Super Dickmann's

মেঘান মার্কল সম্পর্কে জার্মানির সরকারি গণমাধ্যম জেডডিএফ-এর ধারাভাষ্যকারের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক মিটতে না মিটতেই আলোচনায় একটি জার্মান চকোলেট সংস্থা৷ সুপার ডিকমান জার্মানির প্রথম সারির কনফেকশনারি সংস্থা, যাদের চকোলেটের আস্তরণে আবৃত মার্শমেলো অতি পরিচিত ও বিখ্যাত৷ ব্রিটেনের রাজকুমার হ্যারির সঙ্গে মার্কিন অভিনেত্রী মার্কলেরবিয়ে উপলক্ষ্যে তারা একটি ফেসবুক পোস্ট করে৷ সেই পোস্টের ছবিতে সুপার ডিকমান একটি চকোলেট (চকোকুস) মার্শমালোকে নববধূর পোশাক পরায়৷

শনিবার এর সঙ্গে যে স্লোগানটি লেখা হয়, বিতর্ক মূলত সেটিকে ঘিরে৷ বাইরের কালচে চকোলেটের আবরণের ভিতরে যে সাদা স্পঞ্জের মতো সুস্বাদু বস্তুটি থাকে, সেটারই পোশাকি নাম মার্শমেলো৷ ছবির উপর লেখা হয়, ‘এ ফোম ইন হোয়াইট'৷ স্বাভাবিকভাবেই ‘এ ড্রিম ইন হোয়াইট'-এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে৷

সংস্থাটি এর সঙ্গে আবার একটি ক্যাপশনও দেয়৷ লেখে, ‘আপনারা কী দেখছেন? আপনারা কি মেঘান হতে চান না?' 

ছবির সঙ্গে স্লোগান ও ক্যাপশন ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হয়৷ ইন্টারনেটে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে সুপার ডিকমান৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবির নিন্দা করে সংস্থার বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ তোলা হয়৷

অভিনেত্রী মার্কল শ্বেতাঙ্গ নন, তিনি আফ্রিকান-অ্যামেরিকান বংশোদ্ভূত৷ হ্যারির সঙ্গে বিয়ের সময় মার্কিন অভিনেত্রীর এই পরিচয়ের কথা সংবাদমাধ্যম ও ধারাভাষ্যকারদের মন্তব্যেও উঠে আসে৷ বলা বাহুল্য, সুপার ডিকমান চকোলেটের আড়ালে মেঘান মার্কেলের কৃষ্ণাঙ্গ চেহারাকে কটাক্ষ করা হয়েছে বলে মনে করেছেন প্রতিবাদীরা৷ মেঘান মার্কলের স্বপ্নে শ্বেতাঙ্গ হ্যারি, এই বার্তাই যেন দেওয়া হয়েছে জার্মান সংস্থাটির ফেসবুক পোস্টে৷

সমালোচনার মুখে পড়ে অবশ্য ক্ষমা চায় সুপার ডিকমান৷ সংস্থার মুখপাত্র বার্নড রোসলার কবুল করেন, ফেসবুক পোস্টটিতে নির্বুদ্ধিতা প্রকাশিত হয়েছে, যা সংস্থার পক্ষে অস্বস্তিজনক৷ পোস্টটি সরিয়ে ফেলে মুখপাত্র স্বীকার করেন, ‘‘ফেসবুকে এ সব লেখার আগে যথেষ্ট ভাবনাচিন্তা করা হয়নি৷''

পরবর্তীতে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়ে সংস্থাটি লেখে, ‘সুপার ডিকমানের পৃথিবী বৈচিত্র্যপূর্ণ, জাতিবিদ্বেষের স্থান সেখানে নেই৷'

মজা আছে এখানেই৷ চকোলেটের রাজ্যে বর্ণবিদ্বেষ কিন্তু এই প্রথম নয়৷ পুরনো প্রজন্মের বহু জার্মান আজও এ নিয়ে বেশ মজা করে থাকেন৷ এমনকি সুপার ডিকমানের বিখ্যাত ‘চকোকুস'-কে আজও তাঁরা এর পুরনো নাম ‘নেগারকুস' বা ‘নিগ্রোর চুম্বন' নামে ডাকেন৷

আলেকজান্ডার পিয়ার্সন/পিএস (ডিপিএ, এএফপি)