গ্রিসে নতুন ক্যাম্পে যেতে শরণার্থীদের অস্বীকৃতি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ইউরোপের সবচেয়ে বড় শরণার্থী ক্যাম্প মোরিয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক শরণার্থীই নতুন করে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন৷ তাদের সবাইকেই এক সপ্তাহের মধ্যে থাকার ব্যবস্থা করার কথা জানিয়েছিল এথেন্স৷ নতুন তৈরি করা ‘কারে তেপে' ক্যাম্পে তিন হাজারের বেশি শরণার্থীর মধ্যে কেবল কয়েকশ প্রবেশ করেছেন৷
গ্রিসের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী নোতিস মিতারাচি বলেছেন, ‘‘পাঁচ দিনের মধ্যে শরণার্থী সরিয়ে নেয়ার কাজ শেষ হবে৷ সবাইকেই নতুন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হবে৷’’
কিন্তু মোরিয়া ক্যাম্পের শরণার্থীদের বড় একটি অংশ ক্যাম্পে উন্নততর জীবন অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্য কোনো দেশে তাদের স্থানান্তরের দাবি করছেন৷
ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি ফ্লোরিয়ান শ্মিৎস এখন দ্বীপটিতে অবস্থান করছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, ‘‘মোরিয়ায় দীর্ঘদিনের দুরবস্থার পর এখন শরণার্থীরা তো বটেই, দ্বীপের মানুষও আর নতুন কোনো ক্যাম্প চান না৷’’
রোববার থেকে যারা নতুন ক্যাম্পে প্রবেশ করেছেন, তাদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে৷
জার্মানির ওপর চাপ বাড়ছে
গত সপ্তাহে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে যাওয়া ১১ হাজারের মতো শরণার্থীর অনেকেই এখন রাস্তায় রাত কাটাচ্ছেন৷ ডয়চে ভেলের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আগুনে বিধ্বস্ত হওয়া মোরিয়া ক্যাম্পেও এখনও অন্তত হাজারখানেক মানুষ বাস করছেন৷
একটি সড়কে কয়েকশ শরণার্থী জড়ো হয়ে রোববার বিক্ষোভ করেন, তবে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে, কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে৷ এখন সে সড়ক ঘিরে রাখা হয়েছে, সাংবাদিকদের সেখানে যেতে দেয়া হচ্ছে না৷
মোরিয়া শরণার্থী ক্যাম্প বিধ্বস্ত হওয়ার পর নতুন করে শরণার্থী সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে গ্রিস৷ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি এলেও কেউই নিজের দেশে শরণার্থী নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে৷ ফলে বিভিন্ন দেশের কোটাভিত্তিক শরণার্থী নেয়ার নীতি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে৷
জার্মানি ক্যাম্প থেকে ১৫০ জন শিশুকে নেয়ার প্রস্তাব দিলেও এ নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনের ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে দেশটিকে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, অনেক গৃহহীন শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার ক্ষমতা জার্মানির থাকলেও দেশটি তা করছে না৷
জার্মান মন্ত্রিসভার সদস্যরাও এ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্স্ট সেহোফারের শরণার্থী কোটার সমালোচনায় সরব হয়েছে তার মন্ত্রিসভারই উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার৷ জার্মানির অন্তত দুই হাজার শরণার্থী নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷
এডিকে/এসিবি (এপি, রয়টার্স)