গ্রামীণ ব্যাংকের ভবিষ্যৎ
১৭ মে ২০১২গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে গঠিত কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয়েছে সাবেক সচিব মো. মামুনুর রশিদকে৷ তিন জন সদস্য হলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমীর মহাপরিচালক ড. এম এ কামাল৷ এই কমিশনের কাজ হল গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও বাধা খুঁজে বের করা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, গ্রামীণ ব্যাংকের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, আইনী কাঠামো ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজকর্ম পর্যালোচনা করা৷ কমিশন গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যালোচনা করে ব্যাংককে কীভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর অধীনে নেয়া যায় তা সুপারিশ করবে৷
কমিশন গঠনের পর এ নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ৷ তিনি জানান, যারা কমিটিতে আছেন তারা তাদের ক্ষেত্রে সুযোগ্য৷ কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে কাজ করতে হলে তাদের প্রথমে গ্রামীণ ব্যাংকের কাজের ধরণ ও পদ্ধতি বুঝতে হবে৷ তারপর তারা তাদের মূল কাজ শুরু করলে ভাল হবে৷
ড. খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ নিজেও কিছুদিন গ্রামীণ ব্যাংকের সঙ্গে কাজ করেছেন৷ সেই অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি মনে করেন, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনায় প্রাতিষ্ঠানিক রূপ আনতে হবে৷ কারণ এতদিন গ্রামীণ ব্যাংক ছিল ব্যক্তিকেন্দ্রিক৷ তাই একে একটি সিস্টেমে আনতে হবে৷ গ্রামীণ ব্যাংককে সামনে এগিয়ে নিতে হলে এর কোন বিকল্প নেই৷ তিনি মনে করেন, কমিশনের এটিই হবে প্রধান কাজ৷
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গত বছরের ২রা মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণ করে৷ ড. ইউনূস এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যান, কিন্তু আদালতের রায় তার বিপক্ষে যায়৷ তাকে অপসারণের পর সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই একটি কমিশন গঠনের কথা বলে আসছিল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন