গ্রাউন্ড জিরো: স্মৃতিস্তম্ভ আর নির্মাণকাজের স্থান
১০ সেপ্টেম্বর ২০১১এক কথায় বলা যায়, স্মৃতিস্তম্ভ আর নির্মাণকাজের স্থান৷ অর্থাৎ একদিকে যেমন চলছে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ অন্যদিকে আছে স্মৃতিস্তম্ভ ও জাদুঘর৷
২০০১ সালের ঐ হামলার পর ঊদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন নিউ ইয়র্ক দমকল বাহিনীর ৩৪৩ জন সদস্য৷ তাদের স্মরণে বানানো হয়েছে ব্রোঞ্জের তৈরি একটি স্মৃতিস্মারক৷
সেদিন যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের আত্মীয়স্বজনরা তৈরি করেছেন ‘ট্রিবিউট ডব্লিউটিসি ভিজিটর সেন্টার'৷ হামলার পর টুইন টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষের নীচ থেকে পাওয়া নিহতদের ব্যবহৃত বিভিন্ন জিনিস রাখা হয়েছে ঐ ভিজিটর সেন্টারে৷ এর মধ্যে রয়েছে চার মিটার দীর্ঘ বেঁকে যাওয়া ইস্পাতের তৈরি বিম, আছে ময়লা ঢাকা এক জোড়া জুতা, ভেঙে যাওয়া ব্রিফকেস আর এক দমকল কর্মীর পুড়ে যাওয়া হেলমেট ইত্যাদি৷
টুইন টাওয়ারের ভিত্তিটা যেখানে ছিল সেটা চিহ্নিত করে রাখার জন্য ঠিক ঐ জায়গায় জলাধার তৈরি করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যে জলাধারের চারপাশে চারশো ওক গাছ লাগানো হয়েছে৷
এছাড়া নির্মিত হচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার মেমোরিয়াল'৷ যেখানে থাকবে একটি জাদুঘর ও স্মৃতিস্মারক৷ আগামীকাল এই মেমোরিয়ালের কিছু অংশের উদ্বোধন হবে৷
এসব স্মৃতিচারণমূলক সাইট ছাড়াও সেখানে তৈরি হচ্ছে কয়েকটি উঁচু ভবন, যেগুলোর কাজ শেষ হবে ২০১৪ সালে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভবনটি হবে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ১'৷ ৫৪১ মিটার উচ্চতার এই ভবনটিই হবে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা৷ মার্কিন স্থাপত্যবিদ ডেভিড চাইল্ডস এর নকশা করেছেন৷ ১০৫ তলা বিশিষ্ট এই ভবনের বেশিরভাগ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে৷
সাবেক টুইন টাওয়ারের স্থানে আরও কয়েকটি ভবন হবে যার নামও রাখা হয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার৷ তবে প্রতিটি ভবন পরিচিত হবে নাম্বার দিয়ে৷ যেমন ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ২' ভবনটির নকশা করেছেন ব্রিটিশ স্থপতি নরম্যান ফস্টার৷ এই ভবনের উচ্চতা হবে ৪১১ মিটার, যেটি হবে নিউ ইয়র্ক শহরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উঁচু স্থাপনা৷
উল্লেখ্য, নাইন ইলেভেনের সন্ত্রাসী হামলায় মারা গিয়েছিল ২,৭৪৯ জন৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক