সংগীত শিল্পী
২৭ ডিসেম্বর ২০১২গীতিকার, সুরকার, গায়ক ও অভিনেতা রিকি মার্টিন, নব্বই দশকের শুরু থেকেই ল্যাটিন অ্যামেরিকা ও স্পেন-এর রক-পপ সংগীতাঙ্গনে কুড়িয়েছিলেন বিপুল জনপ্রিয়তা৷ ১৯৯৯ সালে ইংরেজি ভাষায় তাঁর প্রথম স্বনামের অ্যালবামটি তাঁকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি ৷
বিশ্বব্যাপী প্রায় দু'কোটিরও বেশি কপি বিক্রির মধ্য দিয়ে, আন্তর্জাতিক পপ সংগীতাঙ্গনে রিকি মার্টিন হয়ে ওঠেন এক মধ্যমণি৷ ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবলের জন্য ‘ফিফা' বেছে নিয়েছিল তাঁর ‘লা কোপা দে লা ভিদা' বা ‘দা কাপ অফ লাইফ' গানটি৷ বছরের সেরা সংগীত হিসেবে গ্র্যামি পরস্কারে ভূষিত হয় এই গান৷
তাঁর আসল নাম এনরিকে হোসে মার্টিন মোরালেস৷ জন্ম ১৯৭১ সালে ২৪শে ডিসেম্বর পোয়ের্তো রিকো'র সান হুয়ান শহরে৷ ছয় বছর বয়স থেকেই গান গাইতে শুরু করেন তিনি৷ নানা ছিলেন একজন কবি৷ তাঁর কাছ থেকেই গীতিকবিতা রচনায় উদ্বুদ্ধ হন রিকি৷ নয় বছর বয়স থেকে পোয়ের্তো রিকো'র টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণ করেন তিনি৷ মাত্র ১২ বছর বয়সে, তরুণ সংগীত গোষ্ঠী ‘মেনুডো'-তে যোগ দেয়ার সুযোগ পান৷ এরপর ১৭ বছর বয়সে তিনি চলে আসেন মেক্সিকো সিটিতে৷ সেখানেই শুরু করেন নিজের একক ক্যারিয়ার৷ চুক্তিবদ্ধ হন রেকর্ড কোম্পানি ‘সনি মিউজিক'-এর সাথে৷
সে সময় তাঁর দেখা হয় এককালীন ব্যান্ড বন্ধু রোবি রোজার সঙ্গে৷ তাঁরই সাথে পরপর দুটি সফল অ্যালবামের মধ্য দিয়ে ল্যাটিন সংগীত জগতে রিকি হয়ে ওঠেন এক সুপার স্টার৷ সেই থেকেই শুরু হয় তাঁর সফল সংগীত জীবন৷
তাঁর ল্যাটিন পপ গানে মিশেছে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংগীতের প্রভাব৷ সমাজ সেবায় উদ্বুদ্ধ রিকি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘রিকি মার্টিন ফাউন্ডেশন'৷ এর সাথে বেশ কিছু মানবিক উন্নয়ন প্রকল্পেরও তিনি অন্যতম পৃষ্ঠপোষক৷ বিশ্বব্যাপী ছয় কোটিরও বেশি অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে তাঁর৷ ‘হলিউড ওয়াক অফ ফেম'-এ তাঁর নামের একটি তারকা রয়েছে৷ এছাড়া, একাধিক গ্র্যামিসহ আরো বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন রিকি মার্টিন৷