গাদ্দাফি কি বানি ওয়ালিদে?
৮ সেপ্টেম্বর ২০১১নাইজারে নেই!
দুই দিন আগে শোনা গিয়েছিল যে, গাদ্দাফি নাইজারে চলে গেছেন৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে গাদ্দাফি স্বয়ং নিজেই জানালেন যে তিনি লিবিয়াতেই রয়েছেন৷ সিরিয়া থেকে সম্প্রচারিত আরবি টেলিভিশন চ্যানেল আল-রাইতে ফোন করে তিনি এ কথা জানিয়েছেন৷ লিবিয়া থেকে বিদ্রোহীদের সরাতে তিনি দেশপ্রেমিক লিবীয়দের অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধে নামারও আহ্বান জানিয়েছেন৷ বার্তা সংস্থার খবরে যেমনটা বলা হয়েছিল যে, কয়েকটি গাড়ির একটি কনভয়কে নাইজারে যেতে দেখা গেছে৷ সে সম্পর্কে গাদ্দাফি বলেন এই প্রথমবারের মতো কি কোনো কনভয় নাইজার গেল? প্রতিদিনইতো ব্যবসা বা অন্য কোনো প্রয়োজনে মানুষ নাইজার, মালি, চাড বা, সুদানে যায়৷ তিনি আবারও বলেছেন যে, তিনি দেশ ছেড়ে যাবেন না৷
তাহলে গাদ্দাফি কোথায়?
এনটিসি'র অনেক কমান্ডারই মনে করছেন বানি ওয়ালিদে থাকতে পারেন গাদ্দাফি৷ তাদের এই ধারণার ভিত্তি হলো শহরটি এখনো ধরে রেখেছে গাদ্দাফি সমর্থকরা৷ বিদ্রোহীরা বলছেন মাত্র এক বা দুইশো সমর্থক যেভাবে বানি ওয়ালিদে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তাতে মনে হচ্ছে গাদ্দাফি সেখানে রয়েছেন৷ উল্লেখ্য, রক্তপাত এড়াতে গত কয়েকদিন ধরে বানি ওয়ালিদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা৷ আত্মসমর্পণের জন্য শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছে গাদ্দাফির সমর্থকদের৷ এর পর সামরিক হামলা চালানো হতে পারে৷
দক্ষিণ আফ্রিকার ভূমিকা
আফ্রিকান ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা এখনো এনটিসিকে সমর্থন জানায় নি৷ তারা বলছে লিবিয়ার ব্যাপারে আফ্রিকান ইউনিয়নের যে রোডম্যাপ রয়েছে, সে অনুযায়ী তারা চলতে চায়৷ এর মধ্যে রয়েছে গাদ্দাফি ও বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে একটি মধ্যবর্তী সরকার গঠন৷ আসলে সংস্থার সদস্য বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে গাদ্দাফি সরকারের ভাল খাতির ছিল৷ ফলে ন্যাটোর সম্পৃক্ততায় তাঁর উৎখাতে ঐসব দেশ বিক্ষুব্ধ৷ তারা মনে করে লিবিয়ার সমস্যা আফ্রিকার সমস্যা৷ সুতরাং আফ্রিকান ইউনিয়নেরই উচিত সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করা৷
ন্যাটো অভিযান
কবে শেষ হবে এই প্রশ্নের জবাবে সংস্থার মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন বলেছেন যতদিন পর্যন্ত না সাধারণ মানুষের প্রতি গাদ্দাফির সমর্থকদের হুমকি বন্ধ হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত অভিযান চলবে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন