খড়কুটো থেকে বায়োফুয়েল
১৬ আগস্ট ২০১৪খড়কুটো দিয়ে বায়োফুয়েল তৈরির উদ্যোগ৷ মূল খাদ্যশস্যে থাকা সুগার বা শর্করার প্রায় সমান শর্করা এগুলোর মধ্যেও রয়েছে৷ সুইস কোম্পানি ‘ক্লারিয়ান্ট' বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে খড় থেকে সুগার বা চিনি আলাদা করে তা ইথানলে রূপান্তরের চেষ্টা করছে৷ এরপর তা সাধারণ পেট্রল বা গ্যাসোলিনের সঙ্গে জুড়ে বায়োফুয়েল তৈরি করা হবে৷
২০০৬ সাল থেকে এই ব্যবস্থা তৈরির কাজ করছে ক্লারিয়ান্ট৷ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্কুস রারবাখ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘খড় বা গাছের গুঁড়িকে প্রকৃতি এমনভাবে তৈরি করেছে যাতে সেগুলো বড় ঝড় মোকাবিলা করে টিকে থাকতে পারে৷ ফলে এটা থেকে শর্করা আলাদা করা বেশ কঠিন এবং ব্যয়সাপেক্ষ ব্যাপার৷ এ জন্য নতুন ধরনের প্রযুক্তি দরকার হচ্ছে৷ আমরা ‘মডার্ন এনজাইম'-এর মাধ্যমে সেটি সফলভাবে করতে সক্ষম হচ্ছি৷''
বিশেষজ্ঞরা বায়োফুয়েল তৈরির গবেষণাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন৷ তবে তারা মনে করেন না, খাদ্যশস্য দিয়ে যে পরিমাণ বায়োফুয়েল তৈরি হচ্ছে, তা খড়কুটো দিয়ে সম্ভব হবে৷ বাভেরিয়ান প্রযুক্তি উন্নয়ন কেন্দ্রের এডগার রেমেলে এই বিষয়ে বলেন, ‘‘বর্জ্য পদার্থ দিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের বায়োফুয়েল পুরোপুরি তৈরির উদ্যোগ সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম৷''
তিনি বলেন, ‘‘খড়ের কথাই ধরা যাক৷ জার্মানিতে বছরে গড়ে এক দশমিক সাত মিলিয়ন টন খড় জ্বালানি তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে৷ আর এভাবে ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন বায়োফুয়েল তৈরি সম্ভব, যা বর্তমান চাহিদার মাত্র নয় শতাংশ৷''
অনেক গাড়িচালক এখনো বায়োফুয়েল ব্যবহারে আগ্রহী নন৷ জার্মানির মাত্র ১৫ শতাংশ চালক ই-টেন পেট্রল ব্যবহার করেন৷ এই গ্যাসোলিনে উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি দশ শতাংশ ইথানল মেশানো রয়েছে৷
নতুন বায়োফুয়েল শুরুতে শুধুমাত্র বিভিন্ন গাড়ি কারখানার ফিলিং স্টেশনে রাখা হবে৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোটা ইউরোপে এটা সহজলভ্য করতে কমপক্ষে আরো ছয় বছর সময় লাগতে পারে৷