জার্মানির এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর দিনলিপি
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩সকাল সোয়া আটটায় ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রির ওপর লেকচার দিয়ে শুরু৷ চলে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক৷ এরপর ইন্টার্নশিপ করতে লুকাস চলে যান একটি কোম্পানিতে৷ সেখানে ক্লাসের তত্ত্বকথাগুলোর বাস্তবিক প্রয়োগ শেখানো হয়৷ যেমন বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করে ‘ফ্র্যাকিং' পদ্ধতিতে কীভাবে শিলা থেকে তেল বের করা যায়, সে সম্পর্কে জেনে নেয় লুকাস৷ লেকচারে তাঁকে জানানো হয় যে, এভাবে তেল সংগ্রহ করাটা পরিবেশের জন্য ঠিক নয়৷ তাই গবেষণা করা আরও উন্নত পদ্ধতি বের করতে হবে৷ এই ব্যাপারটায় বেশ আগ্রহ পায় লুকাস৷ কারণ তাঁর কাছে মনে হয় যে, এভাবে বিশ্বে তেলের ঘাটতি সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে৷ এছাড়া লুকাসের শিক্ষিকা দেখিয়ে দেন, কীভাবে কাঠের বর্জ্য থেকে বায়োফুয়েল তৈরি করা যায় সে পদ্ধতি৷
এই পুরো বিষয়টাই একটা গবেষণা প্রকল্প যেখানে জার্মান সরকার অর্থ সহায়তা দিচ্ছে৷ এর মাধ্যমে লুকাস ভবিষ্যতে কী নিয়ে পড়বে তা খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে৷ লুকাস আশা করছে ভবিষ্যতে সে এমন বায়োফুয়েল উদ্ভাবন করতে পারবে – যা একদিন বাণিজ্যিকভাবেও উৎপাদন করা যাবে৷
ইন্টার্নশিপ শেষে তাড়াহুড়ো করে দুপুরে কিছু খেয়ে নেয় লুকাস৷ কারণ এরপরই দুপুর আড়াইটায় তাঁকে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে৷ বিকাল চারটার সময় আবারো বায়োফুয়েলের উপর ক্লাস করতে ছুটে যান লুকাস৷
এখানেই শেষ নয়৷ বাসায় ফিরে আবারো অনেকক্ষণ ধরে লেখাপড়া করতে হয় তাঁকে৷ কারণ সে জীবনে উন্নতি করতে চায়৷