কেমনিৎসের ঘটনায় চাপে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ডানিয়েল এইচ. নামে ৩৫ বছর বয়সি ঐ জার্মান নাগরিকের হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক সিরীয় ও এক ইরাকি নাগরিককে আটক করা হয়েছে৷ আরো এক ইরাকি ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ৷
মঙ্গলবার ঐ সন্দেহভাজন ব্যক্তির পুরো নাম ও ছবি (এই প্রতিবেদনের সঙ্গেও যুক্ত করা হলো) প্রকাশ করেছে স্যাক্সনি রাজ্যের পুলিশ৷ তাকে ধরার জন্য পোস্টারও ছাপা হয়েছে৷ ঐ ব্যক্তির নাম ফরহাদ রমাজান আহমেদ, বয়স ২২৷ তিনি ইরাকের নাগরিক৷
পুলিশ বলছে, আহমেদের কাছে অস্ত্রও থাকতে পারে৷
পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি
জার্মান নাগরিককে হত্যার দায়ে ইতিমধ্যে আটক হওয়া দুই ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে৷ কারণ, পুলিশ বলছে, সন্দেহভাজন ইরাকি ব্যক্তির নাগরিকত্বের পরিচয়পত্র ও অন্যান্য নথিপত্র ‘পুরোপুরি নকল'৷
অপর সন্দেহভাজন ব্যক্তি সিরীয় শরণার্থী হিসেবে জার্মানিতে নিবন্ধিত আছেন৷ তবে শুধুমাত্র তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই তাকে সিরীয় হিসেবে দেখানো হয়েছে৷
চাপে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার অভিবাসনবিরোধী বলে পরিচিত৷ ফলে এই সময়ে দু'জন সহিংস ব্যক্তি কীভাবে শরণার্থী হিসেবে জার্মানিতে আছেন - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এখন সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন অনেকে৷
উত্তরে সেহোফার জার্মানির অভিবাসন বিষয়ক কার্যালয় ‘বাম্ফ'-এর বক্তব্য তুলে ধরেছেন৷ বাম্ফ জানিয়েছে, কাগজপত্রের সত্যতা যাচাই করার মতো পর্যাপ্ত প্রশিক্ষিত জনবলের অভাব রয়েছে৷ তাই ঐ দুই ব্যক্তির কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে ‘অনেক বেশি সময়' লেগেছে৷
বাম্ফের এই বক্তব্য তুলে ধরে সেহোফার জানান, তিনি ছয় মাস আগেই বাম্ফকে জনবল বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন৷
সম্পাদকের নোট: ডয়চে ভেলে জার্মান প্রেস কোড অনুসরণ করে৷ এই কোড অনুযায়ী একজন সন্দেহভাজন অপরাধী কিংবা ভুক্তভোগীর গোপনীয়তা রক্ষার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়৷ ফলে তাদের পুরো নাম প্রকাশ করা যায় না৷ কিন্তু এক্ষেত্রে যেহেতু পুলিশ সন্দেহভাজনকে খুঁজছে এবং সেজন্য পোস্টারও ছাপিয়েছে, তাই এই প্রতিবেদনের সঙ্গে সন্দেহভাজনের পুরো নাম প্রকাশ করা হলো৷
এলিজাবেথ শুমাখার/জেডএইচ