1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেজরিওয়ালের মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করলো ইডি

৩১ মে ২০২২

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করলো ইডি। তারপরেও কেজরিওয়াল তাকে বরখাস্ত করেননি।

https://p.dw.com/p/4C4Fs
সত্যেন্দ্র জৈনকে ইডি গ্রেপ্তার করার পরও কেজরিওয়াল তাকে বরখাস্ত করেননি।
সত্যেন্দ্র জৈনকে ইডি গ্রেপ্তার করার পরও কেজরিওয়াল তাকে বরখাস্ত করেননি। ছবি: DW/S. Kumar

কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারি সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-র অভিযোগ, সত্যেন্দ্র জৈন কলকাতার একটি সংস্থার মাধ্যমে হাওয়ালার টাকা পাচার করেছেন। ২০১৫-১৬ সালে সত্যেন্দ্র জৈন এই কাণ্ড করেছিলেন বলে ইডি জানিয়েছে।

২০১৭ সালের অগাস্টে সিবিআই সত্যেন্দ্র ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অর্থ নয়ছয় করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। তাদের অভিযোগ ছিল, সত্যেন্দ্র ও তার পরিবারের চারটি শেল কোম্পানি ছিল। কোম্পানিগুলির কোনো ব্যবসা ছিল না। তা সত্ত্বেও তারা কোটি কোটি টাকা শেল কোম্পানির মাধ্যমে নয়ছয় করেছে। এরপর ইডি তদন্ত শুরু করে।

কিছুদিন আগেই পাঞ্জাবে এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেসময় অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মান এবং পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু দিল্লির ক্ষেত্রে ইডি সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেপ্তার করার পরেও তিনি মন্ত্রী থেকে গেছেন। কেজরিওয়াল তাকে সরাননি। বিজেপি ও কংগ্রেস অবিলম্বে সত্যেন্দ্র জৈনের অপসারণ দাবি করেছে।

আপ নেতা ও দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়া অভিযোগ করেছেন, সত্যেন্দ্র জৈন হিমাচল প্রদেশে আপের দায়িত্বে ছিলেন। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। গত আট বছর ধরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ইডি বারবার তাকে ডেকেছে। মাঝখানে ইডি তাকে ডাকা বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ, তারা তদন্ত করে কিছুই পায়নি। কিন্তু হিমাচলের দায়িত্ব পাওয়ার পর আবার তারা সত্যেন্দ্রর পিছনে লেগেছে।

সিসোদিয়ার দাবি, বিজেপি হিমাচলে খুব খারাপভাবে হারবে। তাই সত্যেন্দ্র যাতে হিমাচলে যেতে না পারেন, সেজন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি মুক্তি পাবেন বলে সিসোদিয়ার দাবি। 

এই বছরের শেষে হিমাচলে ভোট হওয়ার কথা।

জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এএনআই)