কুর্দি এলাকার নিয়ন্ত্রণে ইরাকি বাহিনী?
১৬ অক্টোবর ২০১৭সেই লক্ষ্যে রবিবার রাত থেকে অভিযান শুরু করে দেশটির ‘জয়েন্ট অপারেশনস কম্যান্ড'৷ এটি সরকার সমর্থিত বিভিন্ন বাহিনীর একটি গোষ্ঠী৷ সোমবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা কুর্দিদের কাছ থেকে কির্কুকের একটি সামরিক ঘাঁটি, বিমানবন্দর ও তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে জানা গেছে৷
কির্কুককে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস এর নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে ইরাকি বাহিনী সমস্যায় পড়লে তাদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল কুর্দি পেশমার্গারা৷ সেই সময় কুর্দিরা কির্কুকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশের দখল নিয়েছিল৷ কারণ তাঁরা পরবর্তীতে কুর্দি অধ্যুষিত এলাকা নিয়ে একটি দেশ গড়তে চায়৷
এ লক্ষ্যে সেপ্টেম্বরে একটি গণভোট আয়োজন করেছিল ইরাকি কুর্দিরা৷ তবে ইরাকের সরকার এই গণভোটকে অবৈধ ঘোষণা করেছে৷ তুরস্ক, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রও ঐ গণভোটকে স্বীকৃতি দেয়নি৷
গণভোটের পর কির্কুকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাতে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল-আবাদিকে অনুমোদন দেয় দেশটির সংসদ৷
এরপরই সরকারি বাহিনী ও কুর্দিদের মধ্যে সংঘাত দেখা দেয়৷
কুর্দিদের হাতে ছয়টি তেলক্ষেত্রের নিয়ন্ত্রণ ছিল৷ এগুলো থেকে প্রতিদিন তিন লক্ষ ৪০ হাজার ব্যারেল তেল রপ্তানি হয়৷ তেলক্ষেএগুলো হচ্ছে, খোরমালা, বে হাসান, হাভানা, বাবা গার্গার, জম্বুর ও খাবাজ৷ এর মধ্যে সোমবার বাবা গার্গার তেলক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে ইরাকি বাহিনী৷
উল্লেখ্য, আইএসএর বিরুদ্ধে লড়তে কুর্দি পেশমার্গা এবং ইরাকি সৈন্যদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷ এখন এই দুই গোষ্ঠী একে অপরের সঙ্গে সংঘাত লিপ্ত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ তারা উভয়পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে৷
এদিকে, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে কির্কুকের অন্য তেলক্ষেত্রগুলো বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে কুর্দিস্থান প্রশাসন৷ তবে এমনটা না করতে ঐ প্রশাসনকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে৷
জেডএইচ/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)