1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুর্দিরা স্বাধীনতার পক্ষে

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

গণভোটে ৯০ শতাংশেরও বেশি স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিলেও ইরাকি কুর্দিস্তানের পক্ষে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে৷ বাগদাদে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/2kqUm
ইরাকের কুর্দিরা স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিলেন
ছবি: picture-alliance/dpa

সোমবারের গণভোটের রায় কার্যকর করার কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই৷ ইরাকি কুর্দিস্তানের নেতারা আগেই বলেছিলেন, গণভোটের রায় ইতিবাচক হলে বাগদাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবেই তাঁরা স্বাধীনতার পথে এগোতে চান৷

কিন্তু তা সত্ত্বেও ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকার কুর্দিস্তান অঞ্চলের উপর চাপ সৃষ্টি করার পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে৷ ইরাকের প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদির দাবি, এই গণভোটকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে৷ তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, একমাত্র ইরাকের সাংবিধানিক কাঠামোর আওতায়ই আলোচনা সম্ভব৷

ইরাকের সংসদ দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীকে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার ডাক দিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ করেছে৷ এমনকি কুর্দি এলাকায় সামরিক পদক্ষেপের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না৷

এরবিল ও সুলেমানিয়া শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ বাগদাদের হাতে তুলে দেবার নির্দেশ অস্বীকার করায় একাধিক বিমান সংস্থা উড়াল বাতিল করছে৷ তুরস্ক, লেবানন, মিশরের কয়েকটি বিমান সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ এছাড়া তুরস্ক ও ইরান সীমান্তও কার্যত বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ ইরাকি কুর্দিস্তানের বিরুদ্ধে বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু শাস্তিমূলক পদক্ষেপের হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷

Infografik Karte Kurdische Siedlungsgebiete ENG

ইরাকি কুর্দিস্তানে স্বাধীনতা সংক্রান্ত গণভোটের বিরোধিতা করে আসছে একাধিক দেশ ও সংগঠন৷তুরস্কও ইরানের মতো প্রতিবেশী যেসব দেশে কুর্দি সংখ্যালঘু গোষ্ঠী ছড়িয়ে রয়েছে, তাদের চরম আপত্তির কারণ স্পষ্ট৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘও এমন পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে৷ রাশিয়া ইরাকি কুর্দিস্তানের পেট্রোলিয়াম শিল্পে অনেক বিনিয়োগ করছে৷ ফলে সে দেশও ইরাকের ঐক্যের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে৷

দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর ধরে স্বায়ত্তশাসনের ফলে ইরাকি কুর্দিস্তান অনেক ক্ষেত্রেই কার্যত স্বাধীনতা ভোগ করছে৷ আঞ্চলিক বাণিজ্যের মাধ্যমে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে গভীর যোগাযোগ সৃষ্টি হয়েছে৷ আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামেও এই অঞ্চল অ্যামেরিকার ঘনিষ্ঠ সহযোগী৷ এমন প্রেক্ষাপটে বিচ্ছিন্নভাবে ইরাকি কুর্দিস্তানের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব হবে না বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ৷ অন্যদিকে জাতি হিসেবে রাষ্ট্রহীন অস্তিত্বও মেনে নিতে প্রস্তুত নয় অনেক কুর্দি৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)