জবাব দিতে হবে জনসন সরকারকে
২২ এপ্রিল ২০২০ইউরোপের যে কয়েকটি দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ মারাত্মক রূপ নিয়েছে তার অন্যতম যুক্তরাজ্য৷ জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যানুযায়ী বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক লাখ ৩০ হাজার ১৮৪ জন এবং মোট মৃত্যু ১৭,৩৩৭ জন৷ খোদ প্রধানমন্ত্রী জনসন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা নিতে তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে৷
জনসন সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা দেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রকৃত তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়েছে৷ যথেষ্ট টেস্টও করাতে পারেনি, এমনকি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটেক্টিভ গিয়ার পর্যন্ত সরবরাহ করতে পারেনি৷ যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশে চিকিৎসাকর্মীদের পলিথিন ব্যাগ পরে করোনা আক্রান্তদের সেবা দিতে হয়েছে৷ যে কারণে সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমিত হওয়ায় হারও অনেক বেশি৷ কয়েকজন মারাও গেছেন৷
ইউরোপে বিশেষ করে ইটালি, স্পেন ও ফ্রান্সে যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিপজ্জনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছিল এবং বিস্তার রোধে দেশগুলোর সরকার কড়াকড়ি আরোপ করছিল, তখনও জনসন দেশজুড়ে যাতায়াত ও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিপক্ষে ছিলেন৷
পরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা কোভিড-১৯ এ যুক্তরাজ্যে তিন লাখের বেশি মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা প্রকাশ করলে জনসন লকডাউন ঘোষণা করেন৷
সময়মত ‘ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ভেন্টিলেটর স্কিম’ এ যোগ দিতে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়েজনীয় সুরক্ষা যন্ত্রের যোগান দিতে ব্যর্থ হওয়ার দায় কাঁধে নিয়ে জনসন সরকার অবশ্য এর কারণ বোঝাতে জটিল একটি ব্যাখ্য দিয়েছে৷ তবে বিরোধী দলগুলো তাদের এই ব্যাখ্যা মানতে রাজি নয়৷
বুধবার এক বিবৃতিতে লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের ভারপ্রাপ্ত নেতা ইডি ডেভি বলেন, ‘‘বৈশ্বিক এই মহামারিতে সরকার যেভাবে সড়া দিয়েছে অবশ্যই তার আনুষ্ঠানিক তদন্ত হওয়া উচিত৷
‘‘কেন সরকার আশ্চর্যজনকভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা যন্ত্র দিতে ব্যর্থ হয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, তার সত্যি কারণ জানাতে জনসন সরকারকে সুযোগ দেওয়া উচিত৷ দিন দিন সবার মনেই এই প্রশ্ন জাগছে৷’’
বিরোধী লেবার পার্টির নেতা কির স্টারমারও মনে করেন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সরকার পিছিয়ে ছিল এবং একই সঙ্গে যুক্তরাজ্যকে এই সংকটে পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখতে হবে৷
এসএনএল/জেডএইচ (রয়টার্স)