বৌদ্ধ এলাকার পরিস্থিতি
৯ অক্টোবর ২০১২গত ৬ এবং ৭ই অক্টোবর কক্সবাজারে রামুসহ আক্রান্ত বৌদ্ধ পল্লিগুলো পরিদর্শন করেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা৷ তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছেন৷ কথা বলেছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে৷ প্রতিনিধি দলের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ডয়চে ভেলেকে জানান, সেখানে যে নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তার ১০ ভাগের বেশি সংবাদ মাধ্যম তুলে ধরতে পারেনি৷
তিনি জানান, সব ধরণের মানুষের সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পেরেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীরা এই হামলার মূলে৷ তারা জামায়াতের মাধ্যমে স্থানীয় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগকেও ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে৷ তারা সাম্প্রদায়িকতাকে কাজে লাগিয়েছে৷
তিনি বলেন, আগে থেকেই এই হামলার পরিকল্পনা হয়৷ হামলার ২ দিন আগে ২৭শে সেপ্টেম্বর এক বৌদ্ধ যুবকের ফেসবুকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোরানের অবমাননাকর ছবি ট্যাগ করে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করা হয়৷ হামলার আগে মিছিল হয়েছে৷ পরিস্থিতি বুঝতে পরে আগেই পুলিশের কাছে সহায়তা চেয়েছেন বৌদ্ধরা৷ কিন্তু কোনই ব্যবস্থা নেয়া হয়নি৷
রোবায়েক ফেরদৌস জানান, তাঁরা নাগরিক কমিটির ১৪ জন সদস্য রামুতে গিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে শিক্ষক, আইনজীবী , মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির মানুষ ছিলেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন