1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজেপির দিকে দুর্নীতির তির

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৮ অক্টোবর ২০১২

মহারাষ্ট্রে বিদর্ভ এলাকায় জমি দখলে বিজেপির সভাপতি নিতিন গডকড়ি মহারাষ্ট্র সরকারের কাছ থেকে অন্যায় সুযোগ নিয়েছিলেন৷ দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে৷

https://p.dw.com/p/16S5B
বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ইন্ডিয়া এগেনস্ট কোরাপশন আন্দোলনের অন্যতম নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল
ছবি: picture-alliance/dpa

কংগ্রেসের সলমান খুরশিদ এবং কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর জামাই রবার্ট বঢ়োরা এবং বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ির পর এবার নিশানা এখন কংগ্রেস-জোট সরকারের শরিক দল এনসিপি দলের সভাপতি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ার৷

বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন ইন্ডিয়া এগেনস্ট কোরাপশন আন্দোলনের অন্যতম নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ বিজেপিকে নিশানা করতে পারে আন্দাজ করে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সেই অভিযোগ খন্ডন করতে এগিয়ে আসেন৷

শারদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন ইন্ডিয়া এগেনস্ট কোরাপশন সংগঠনের অন্য একজন সদস্য৷ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যে ১৫ জন মন্ত্রী বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ তার অন্যতম হলেন কৃষিমন্ত্রী শারদ পাওয়ার৷ তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি প্রধান অভিযোগ, গম আমদানি, ডাল আমদানি এবং মুম্বইয়ের উপকন্ঠে লাভাসা আবাসন প্রকল্পের জমি কেলেঙ্কারি৷ এর জন্য অবিলম্বে তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেয়া উচিত৷

বিজেপির সভাপতি নিতিন গডকড়ির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খন্ডন করে দলের পক্ষে সংসদীয় নেতা অরুণ জেটলি এবং সুষমা স্বরাজ বলেন, এই অভিযোগের সারবত্তা কিছু নেই৷ অস্বস্তি যদি কারোর হয়ে থাকে, তা হয়েছে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস-এসিপি জোট সরকারের৷ নিতিন গডকড়ি জমি দখল করেননি, তাঁকে বণ্টন করেছে মহারাষ্ট্র সরকার এবং সেটা করা হয়েছিল বৈধভাবে৷

কেজরিওয়ালের অভিযোগ, মহারাষ্ট্র সরকার সেচ-বাঁধের জন্য যেসব জমি অধিগ্রহণ করেছিল, তার বাড়তি জমি কৃষকদের ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তিবিশেষ বা সংস্থাকে দেয়া যায় না৷ অরুণ জেটলির মতে পুরানো জমি আইন অনুসারে সেটা সরকারের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে৷ তিনি মনে করেন, এই ধরণের ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে নিজের এবং নাগরিক সংগঠনের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করছেন৷ বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও কেজরিওয়াল প্রমাণ করতে পারবে না৷

এক সংবাদ সম্মেলনে কেরিওয়াল তোপ দেগেছিলেন এই বলে যে, বিদর্ভের শুখা এলাকায় জলাভাব দূর করতে রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তর অতিরিক্ত ১০০ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল৷ বাঁধ নির্মাণের পর ৩৭ একর বাড়তি জমি গডকড়ি পরিচালিত এনজিওকে দেয়া হয় নামমাত্র দামে তৎকালীন সেচমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের নির্দেশে৷ উল্লেখ্য, অজিত পাওয়ার কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রি শরদ পাওয়ারের ভাইপো৷ শুধু তাই নয়, বাঁধের জল সেচে ব্যবহার না করে তা দেয়া হয় গডকড়ির চিনি কলে৷ ফলে চাষিরা না পেল জমি, না পেল জল৷ বিদর্ভের বহু চাষি শুখা মরশুমে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়৷

পর্যবেক্ষকদের ধারণা, রাজনৈতিক দল গঠনের আগে দল নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতাদের নিশানা করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বোঝাতে চাইছেন যে, তিনি একটা পৃথক রাজনৈতিক সত্তা নিয়ে দাঁড়াতে চাইছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য