‘এমন রায়ের খবর সব পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া উচিত’
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ডয়চে ভেলেকে দেয়া টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এলিনা খান বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনায় পরিবার যেমন উৎকন্ঠায় থাকে, জাতিও তেমনি উৎকন্ঠায় থাকে৷'' তাই এত দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে বলে মনে করেন তিনি৷
প্রশাসন ও বিচার বিভাগের সদিচ্ছার কারণেই দ্রুত বিচার করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন এই মানবাধিকার কর্মী৷ তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এ ধরনের বিচারের দৃষ্টান্ত ‘ব্যতিক্রম' বলেও মনে করেন তিনি৷
‘‘শিশু তানিয়া ধর্ষণ মামলার বিচার পাইনি, সীমা হত্যা মামলার বিচার পাইনি৷ আবার ইয়াসমিনের ঘটনা ১৯৯৫ সালের, বিচার পেয়েছি ২০০৩-এ এসে৷ বগুড়ায় মা, মেয়েকে ধর্ষণ করে ন্যাড়া করা হয়েছে, তারও সুবিচার হয়নি৷''
সব মামলার যদি এভাবে বিচার হতো, তাহলে বাংলাদেশে ধর্ষণ একেবারে বন্ধ না হলেও কমে যেতো বলে মনে করেন এলিনা খান৷
তবে শুধু প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থাই নয়, সেজন্য সামাজিক প্রতিরোধও গড়ে তোলা দরকার বলে মত তাঁর৷
এর আগে সকালে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালত রূপা হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায়ে চারজনকে ফাঁসির আদেশ এবং একজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন৷
গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে দেয় বাস চালক ও হেলপাররা৷