‘কবে আমাদের বিবেক জাগবে?'
৩০ আগস্ট ২০১৭গত শুক্রবার টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ওই বাসের পাঁচ কর্মী৷ মুঙ্গলবার পাঁচজনকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷ আটকদের মধ্যে তিনজন ধর্ষণ ও হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে৷ একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরত ওই তরুণী বগুড়ায় শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বাসে করে কর্মস্থল ময়মনসিংহে ফিরছিলেন৷
টুইটারে খবরটি শেয়ার করে তাজিম তাঁর পরিচিত সব নারীকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘‘সকল বান্ধবী, ছোটবোন, বড়বোনগণ পড়ুন আর সাবধান হোন৷ সমাজে খারাপ মানুষের অভাব নেই৷''
শামিম রহমান খবরটি পড়ে ক্ষুব্ধ এবং হতাশ৷ তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘ধর্ষণ রোধে আমাদের অপর্যাপ্ত আইন দেখে আমার আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে করছে৷ কোথায় আমাদের আইন প্রণেতারা? এখন কী করছেন তাঁরা? টেলিভিশনে গেলেই তাঁরা বাচাল হয়ে পড়েন৷ ধর্ষকদের সব ক্ষেত্রে ফাঁসিই হওয়া উচিত৷''
ধর্ষণের খবর এলেই শুরু হয় সাময়িক তোলপাড়৷ তারপর ধীরে ধীরে সবাই তা ভুলে যান৷ এই বিষয়টি লক্ষ্য করে তীব্র হতাশা নিয়ে ফেসবুকে রূপম মজুমদার লিখেছেন, ‘‘পরিবহনে নারীরা নানানভাবে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন৷ গোটা দেশ এ নিয়ে উত্তাল হবার কথা ছিল৷ হয়নি৷ কখনোই না৷ কোথাও পরিচ্ছন্নতা নাই৷ কোথাও একাত্তরের মতন চেতনার জোয়ার নেই৷ রাষ্ট্র তৈরি করছে একেকটা বদমাশ৷ ভালো মানুষ হবার শিক্ষা আজ কোথাও দেওয়া হয় না৷ তনুর ধর্ষক/খুনি কে বা কারা, তা-ই তো আমরা জানতে পারলাম না৷ গুরু পাপে লঘু শাস্তিতে পরিসংখ্যানের কলেবরই কেবল বৃদ্ধি পাচ্ছে৷''
অনেকের মতো জামশেদ জনি রিশাদও এ অবস্থার অবসান চান৷ চান ধর্ষকদের কঠোর সাজা৷ দেশে আর কেউ ধর্ষণের শিকার না হোক – এ-ও চান তিনি৷ কিন্তু কবে আসবে সেদিন? ফেসবুকে সেই প্রশ্নটা রেখেছেন তিনি এভাবে, ‘‘আর কত নারী ধর্ষিত হলে, কত মানুষের মৃত্যু হলে, আমাদের বিবেক জাগবে?''
সংকলন: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ