নিলামে জোড়া ডাইনোসর
১৪ নভেম্বর ২০১৩না, জ্যান্ত নয়৷ পঞ্চত্ব প্রাপ্তি হয়েছে প্রায় ৬ কোটি ৮০ লক্ষ বছর আগে৷ মৃত্যুর সময়ও লড়াই করছিল তারা৷ ঠিক সেই অবস্থায় রয়েছে তাদের কঙ্কালের জীবাশ্ম৷ আজকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানা রাজ্যে চাপা পড়ে ছিল সেই বিরল ঘটনার ছাপ৷ সেই জমি কিন্তু আবার ছিল ব্যক্তিগত মালিকানায়৷ ২০০৬ সালে খনন করে সেই প্রায় অক্ষত জীবাশ্ম উদ্ধার করা হয়৷ দুটি প্রাণীর মধ্যে একটি টিরানোসরাস রেক্স-এর জ্ঞাতি ন্যানোটিরালাস৷ রেক্স-এর মতোই মাংসাশী শিকারি ছিল তারা৷ দ্বিতীয় ডাইনোসরাসটি এমন এক অজানা প্রজাতির, যারা ঘাসপাতা খেত৷ উত্তর অ্যামেরিকায় এর আগে এমন প্রায় অক্ষত ডাইনোসরের জীবাশ্ম পাওয়া যায়নি৷
এ ধরনের আবিষ্কার সাধারণত মিউজিয়াম বা অন্য কোনো সংগ্রহশালায় স্থান পায়৷ সাধারণ মানুষ টিকিট কেটে সে সব দেখার সুযোগ পান৷ বিজ্ঞানী ও গবেষকরাও প্রয়োজনীয় পরীক্ষা চালাতে পারেন৷ কিন্তু মন্টানায় পাওয়া জীবাশ্মের ‘মালিক' এই সম্পদ নিলামে চড়িয়ে দুই পয়সা কমাতে চান৷ বনহ্যামস-এ অকশনে ৭০ থেকে ৯০ লক্ষ ডলার আশা করছেন তিনি৷ তিনি অবশ্য প্রথমে একাধিক মিউজিয়ামকেই বিক্রি করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু তাদের এত দাম দিয়ে জীবাশ্ম কেনার সামর্থ্য ছিল না৷
বিষয়টা শুধু টাকাপয়সার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়৷ সংগ্রামরত দুই ডাইনোসরের জীবাশ্ম নিয়ে যে দাবি করা হচ্ছে, তা ঠিকমতো যাচাই করতে চাই নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা৷ বৈজ্ঞানিকদের নাগালের বাইরে থাকলে সেটা সম্ভব হবে না৷ মার্কিন বিজ্ঞানী টমাস কার এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, এমন সম্পদ স্থায়ীভাবে কোনো মিউজিয়াম বা গবেষণাগারে না থাকলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে পারে না৷ তাছাড়া জীবাশ্ম যেখানেই পাওয়া যাক না কেন, এমন আবিষ্কারকে মানবজাতির সম্পদ হিসেবেই গণ্য করতে হয়৷
নিলামের দোকান বনহ্যামস-এর প্রতিনিধি টমাস লিন্ডগ্রেন অবশ্য এমন যুক্তি মানতে নারাজ৷ তাঁর মতে, জমির মালিক অনেক অর্থ ও সময় ব্যয় করে জীবাশ্মদুটিকে সযত্নে উদ্ধার করেছেন৷ এর জন্য বেশ কয়েক হাজার ডলার ব্যয় করতে হয়েছে৷
পাল্টা জবাবে টমাস কার বলেছেন, জীবাশ্মের খননকার্যে বড়জোর ২০,০০০ ডলার ব্যয় হতে পারে৷ ফলে ৯০ লক্ষ ডলার দাম চাওয়াটা মোটেই ন্যায্য হতে পারে না!
এসবি/ডিজি (ডিপিএ)