এক্সট্রিম স্পোর্টস
২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫এক্সট্রিম স্পোর্টস, মানে চূড়ান্ত খেলাধুলা, যাতে রোমাঞ্চই বড় কথা৷ মোট ১৩টি ইভেন্টে হার-জিত বড় কথা নয়৷
জার্মানির সেবাস্টিয়ান ব্র্যুক এই নিয়ে ছ'বারের মতো এখানে এসেছেন৷ তিনি বলেন: ‘‘এখানে আসি পরিবেশটার জন্য৷ বহু ‘কুল' মানুষজনের সঙ্গে দেখা হয়৷ অনেক ধরনের আজব ঘটনা ঘটে, যা ভাবাই যায় না৷''
৩৫ বছর বয়সি সেবাস্টিয়ান একটি মাউন্টেন বাইক অভিযানের লিডার৷ রুটটা অভিজ্ঞ মাউন্টেন বাইকারদের জন্যও একটা চ্যালেঞ্জ৷ ২৫ জন বাইকারকে হেলিকপ্টারে করে ভোর সাতটায় একটা পাহাড়ের ওপরে নিয়ে আসা হয়৷ উচ্চতা ১,৪০০ মিটার৷ প্রথমে পাহাড়ের মাথায় বসে প্রাতরাশ, তারপর সেখান থেকেই বাইকে চড়ে নীচে নামা!
ভস কী ও কেন
এক্সট্রিম খেলাধুলার প্রতিযোগিতা বাদ দিলে ভস বেশ শান্ত একটি শহর৷ প্রায় ১৪ হাজার মানুষের বসবাস৷ চারদিকে পাহাড়, হ্রদ, স্কি খেলার ঢাল – সব ধরনের আউটডোর খেলাধুলার পক্ষে আদর্শ৷
এ বছর ৩০টি দেশ থেকে হাজার খানেকের বেশি এক্সট্রিম স্পোর্টের অনুরাগী এসেছেন৷ ভস-এর বাসিন্দাদের জন্যও রোমাঞ্চকর সময় এটা৷ তাদের একজনের মন্তব্য: ‘‘আমরা যারা ভস-এ থাকি, তাদের কাছে এই সপ্তাহটা খুবই রোমাঞ্চকর৷ নানা ধরনের স্পোর্ট দেখতে পাই, যা আমরা নিজেরা করার কথা ভাবতেই পারি না৷''
প্রতিদিন প্রায় ১৬টা করে প্রতিযোগিতা৷ অ্যাথলিটরা বিভিন্ন ধরনের ইভেন্টে পয়েন্ট সংগ্রহ করে সপ্তাহের শেষে একটা বিশেষ প্রাইজ পেতে পারেন৷ দারুণ পরিবেশ, অনেকটা অ্যাথলিটদের একটা বড় পরিবারের মতো৷ ভস-এর আরেক বাসিন্দা বললেন:
‘‘১৯৯৭ সালে ভস-এর স্কাইডাইভিং ক্লাব, প্যারাগ্লাইডিং ক্লাব, ব়্যাফটিং ক্লাব আর কায়াক ক্লাব – সকলেই পরের গ্রীষ্মে একটা ইভেন্ট আয়োজন করার কথা ভাবছিল৷ তারপর একই সপ্তাহে সব কটি ইভেন্ট করার পরিকল্পনা নেয়া হলো৷ শুরুটা এ ভাবেই হয়েছিল৷''
প্যারা-জাম্পিং ও নিসর্গ
ভস-এর বিশেষত্ব হল, অ্যাথলিটরা একটা ইভেন্টে নয়, একাধিক ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন৷ সেবাস্টিয়ান ব্র্যুক যেমন মাউন্টেনবাইক ছাড়া প্যারা-জাম্পিং-এও অংশ নিচ্ছেন৷ তিনি বলেন: ‘‘এখানে প্যারা-জাম্পিং একটা দারুণ ব্যাপার, কেননা চারদিকে খোলা প্রকৃতি৷ নামার জায়গাগুলো কম, কেননা চারপাশে পাহাড়৷ জাম্প করার পর যে দৃশ্য, তা সত্যি মুগ্ধ হবার মতো৷''
ভস-এর এক্সট্রিম স্পোর্টস সপ্তাহ৷ এখানে আসলে যেটা লাগে, সেটা হল অসম সাহস!