একজনের জন্য নাইট রাইডার্সের এই হাল?
৩০ অক্টোবর ২০২০বহু কোটি টাকার টিম তৈরি করে এবার আইপিএল খেলতে নেমেছে শাহরুখ খানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স৷ কিন্তু একের পর এক ম্যাচে তাদের ব্যর্থতা হতাশ এবং ক্ষিপ্ত করছে সমর্থকদের৷ ব্যাটিং অর্ডারে বদল থেকে শুরু করে একেবারে অধিনায়ক বদলে ফেলা, কোনো টোটকাতেই কাজ হচ্ছে না৷ বরং এই ঘনঘন রদবদলেই নাইটরা ছন্দে ফিরছেন না বলে মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা৷ একই কথা বললেন কলকাতার একটি বাংলা দৈনিকের ক্রীড়া সম্পাদক অনির্বাণ মজুমদার৷ তিনি মনে করছেন, কেকেআর-এর ব্যর্থতার অন্যতম প্রধান কারণ দলের দুই সেরা খেলোয়াড় আন্দ্রে রাসেল এবং সুনীল নারাইনের ফর্মে না থাকা৷ রাসেল এর পাশাপাশি চোট-আঘাতেও কাবু, যদিও সে চোট কোথায় এবং কতটা, সে নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে৷ ওদিকে সুনীল নারাইন ব্যাটে একেবারেই ফর্মে নেই৷ গতবারের আইপিএলে কেকেআর যত দূর গিয়েছিল, তার পিছনে এই দুজনের ব্যাটিং দক্ষতার বিরাট ভূমিকা ছিল৷
এছাড়া সবাই যেটা বলছেন, অনির্বাণেরও তাই মত যে, এভাবে ঘন ঘন ব্যাটিং অর্ডার বদলে আখেরে লাভ হচ্ছে না, উল্টে ক্ষতি হচ্ছে৷ একের পর এক খেলোয়াড়ের নাম করে অনির্বাণ দেখালেন, পরীক্ষামূলক বদল কোনো কাজে লাগেনি৷ আচমকা আনকোরা খেলোয়াড়কে মাঠে নামিয়ে দেওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি বলে তাঁর মত৷ এর পাশাপাশি নিজস্ব একটি পর্যবেক্ষণের কথা বলেছেন অনির্বাণ মজুমদার৷ তিনি বললেন, ‘‘কলকাতা নাইট রাইডার্সের যে ব্যাটসম্যান সবথেকে বেশি রান করেছে, তার জন্যেই কিন্তু নাইট রাইডার ডুবছে৷ (সে হলো) শুভমান গিল৷ শুভমান ওপেন করে খুব ভালো রান করেছে৷ কিন্তু সমস্যা যেটা, যে প্রচুর বল নিয়ে খেলছে৷ এইটা চলবে না৷ এইটাতে কেকেআর ডুবছে৷ এটা কেউ বলছে না, কিন্তু এই জায়গাটায় কেকেআর ম্যাচের পর ম্যাচ ডুবছে৷ সুভমান গিল ৩০-৩২ রান করতে নিয়ে নিচ্ছে ২৭-২৮ বল৷ এটা টি টোয়েন্টিতে একজন ওপেনারের পক্ষে একটা অপরাধ!কারণ, প্রথম ছয় ওভার ‘পাওয়ার প্লে’৷ আমাকে যত রান, ওই ছ ওভারে তুলে নিতে হবে৷ সুভমান গিল পারছে না, অথচ প্রচুর রান করছে৷ প্রথম ছয় ওভারে সুভমান গিলের ‘স্ট্রাইক রেট’ ১১২৷ মানে প্রতি ১০০ বলে ১১২ রান৷ এটা টি-২০ ক্রিকেটে অচল!’’
অনির্বাণ মজুমদারের সোজা কথা, পাওয়ার প্লে-তে স্ট্রাইক রেট অন্তত ১৬০-১৭০ হতে হবে৷ সম্ভব হলে আরো বেশি৷ তবে টি-২০ ক্রিকেটে ম্যাচ জেতা যাবে৷ কলকাতা নাইট রাইডার্স সেটাই করে উঠতে পারছে না৷ ফলে একের পর এক হার৷