1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উদ্বাস্তুদের নিয়ে জার্মান পরিকল্পনা

ব্যার্ন্ড গ্র্যেসলার/এসি২৬ জানুয়ারি ২০১৬

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সিডিইউ দলের রাজনীতিকদের কাছ থেকে নিত্যনতুন যে সব উদ্ভুটে পরিকল্পনা শোনা যাচ্ছে, তার সঙ্গে একাধিক রাজ্যে আসন্ন নির্বাচনের সংযোগ থাকতে পারে, বলে ডয়চে ভেলের ব্যার্ন্ড গ্র্যেসলার-এর ধারণা৷

https://p.dw.com/p/1Hjvv
Deutschland Angela Merkel mit Julia Klöckner beim CDU-Parteivorstand
ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

ইউলিয়া ক্ল্যোকনার আবার যে কেউ নন, সিডিইউ দলের উপপ্রধান৷ দিন কয়েক আগে ইনিই তাঁর দলীয় সতীর্থদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, ‘‘একবার চুপ করলেও তো পারেন!'' ঠিক তাঁর কাছ থেকেই এবার তথাকথিত ‘প্ল্যান এ-টু' বা ‘দ্বিতীয় প্রাথমিক' পরিকল্পনার প্রস্তাব এসেছে৷ চ্যান্সেলর ম্যার্কেল উদ্বাস্তু বা শরণার্থী সমস্যার একটি ইউরোপীয় সমাধানের যে পরিকল্পনা দিয়েছেন, ক্ল্যোকনার-এর প্রস্তাব তার বিকল্প না হয়ে বরং সম্পূরক, এটা দেখানোর জন্যই সম্ভবত ক্ল্যোকনার-এর প্রস্তাবের নাম রাখা হয়েছে ‘প্ল্যান এ-টু', ম্যার্কেলের পরিকল্পনা যেখানে ‘প্ল্যান এ'৷

‘প্ল্যান এ-টু' বলছে, সীমান্তে উদ্বাস্তুদের রেজিস্ট্রি করে, দিনে কতজন উদ্বাস্তুকে জার্মানিতে ঢুকতে দেওয়া হবে, সেটা রাজ্য ও পৌর প্রশাসনগুলির সামর্থ্য ও প্রস্তুতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট করা হবে, যার নাম রাখা হয়েছে ‘টাগেসকন্টিন্গেন্টে' বা ‘দৈনন্দিন কোটা'৷ অর্থাৎ প্রতিদিন ঠিক ততজন উদ্বাস্তুকে ঢুকতে দেওয়া হবে, যতজনের ভদ্র-সভ্য আবাস ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে৷

Graessler Bernd Kommentarbild App
ব্যার্ন্ড গ্র্যেসলার, ডয়চে ভেলে

ক্ল্যোকনার-এর প্ল্যান-এর নামধাম-উপজীব্য দেখলে সিডিইউ দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব কিছুটা উপলব্ধি করা যায়: মাসের পর মাস ম্যার্কেলের উদ্বাস্তু নীতির বিরুদ্ধে গজরানো সত্ত্বেও দলের তরফ থেকে সেই নীতি পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি৷ কিন্তু এবার তিনটি প্রাদেশিক নির্বাচন ঘাড়ে এসে পড়েছে; ওদিকে জনমত সমীক্ষায় খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীদের সমর্থনের অনুপাত ক্রমেই কমে আসছে৷ এই পরিস্থিতিতে রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেট রাজ্যে সিডিইউ দলের মুখ্য প্রার্থী ইউলিয়া ক্ল্যোকনার সম্ভবত কিছু একটা করার প্রয়োজন বোধ করেছিলেন৷

বার্লিনকে বৈরী করে নির্বাচনি প্রচার

ক্ল্যোকনার যা করছেন, প্রাদেশিক নির্বাচনে সেটা একটা প্রথাও বটে: নিজের দল, কেন্দ্রের জোট সরকার, এমনকি খোদ চ্যান্সেলরের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেকে ভোটারদের কাছে নিজেকে তুলে ধরার চেষ্টা সব দলের রাজনীতিকরাই কম-বেশি করে থাকেন৷ তবুও ক্ল্যোকনার তাঁর পরিকল্পনাকে ‘এ-টু' নাম দিয়ে ভব্যতা রক্ষা করেছেন৷ কিন্তু ঐ পরিকল্পনার সার ম্যার্কেলের পরিকল্পনার বিরোধী, কেননা ক্ল্যোকনার-এর পরিকল্পনা কার্যকরি করতে গেলে অন্তত সাময়িকভাবে সীমান্ত বন্ধ করতে হবে – যার জন্য প্রয়োজন পড়বে কাঁটাতার ও বন্দুকধারী সীমান্তরক্ষীদের; হাইওয়ে ছাড়া অন্যান্য রাস্তায় চেকপয়েন্টের ব্যবস্থা করতে হবে; অস্ট্রিয়া সীমান্তে আরো বেশি পুলিশি টহলদারির ব্যবস্থা করতে হবে৷ এ সবই হবে সংবিধান সম্মত, বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত৷ এবং খোদ জার্মান মিডিয়া যা-কে ‘‘ম্যার্কেলের মন্ত্র'' আখ্যা দিয়েছে, সেই ‘‘ভির শাফেন ডাস'' বা ‘‘আমরা পারব''-র সঙ্গে এর কোনো সম্পর্কই নেই৷

ম্যার্কেলকে জানানো হয়েছিল

অথচ সিডিইউ দলের সাধারণ সম্পাদক পেটার টাউবার স্বয়ং ক্ল্যোকনার-এর ‘‘প্ল্যান এ-টু''-কে ‘‘চলতি নীতির উত্তরোত্তর বিকাশ'' বলে প্রশংসা করেছেন৷ বার্লিনের খবর হলো যে, ক্ল্যোকনার নাকি তাঁর এই পরিকল্পনার ব্যাপারে আগে থেকেই চ্যান্সেলরের সঙ্গে কথাবার্তা বলে নিয়েছিলেন৷ সেটা কি বিশ্বাসযোগ্য?

বোঝা যাচ্ছে যে, ম্যার্কেল যে জনসমক্ষে তাঁর নিজের ছাড়া উদ্বাস্তু সংক্রান্ত অন্য কোনো ধরনের পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলতে রাজি নন, সেটা হলো এক ব্যাপার৷ অপরদিকে রয়েছে যাকে জার্মানে বলে রেয়ালপলিটিক বা বাস্তব রাজনীতি৷ মিডিয়া যাকে ‘‘বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশীল মহিলা'' নাম দিয়েছে, তাঁর উপর আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে চাপ এখন এমনই চরমে উঠেছে যে, ম্যার্কেল তাঁর উদ্বাস্তু নীতি থেকে অনেক আগেই পশ্চাদপসারণ করতে শুরু করেছেন – শুধু ‘‘উদ্বাস্তুদের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্দিষ্ট করা''-র কথা, আর ‘‘প্ল্যান এ-টু''-র পরিবর্তে ‘‘প্ল্যান বি''-র কথা না বললেই হলো৷

ম্যার্কেল কি তাঁর উদ্বাস্তু নীতি বদলাতে চলেছেন বলে আপনি মনে করেন? জানান নীচে, মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান