টাকা-পয়সা হারাচ্ছেন শরণার্থীরা
২২ জানুয়ারি ২০১৬শরণার্থী সংকট নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে ইউরোপ৷ এই সংকট ইউরোপকে শেষ পর্যন্ত কোন জায়গায় নিয়ে দাঁড় করাবে – এ নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও চিন্তা-উদ্বেগের শেষ নেই৷ অবশ্য উদ্বেগের পাশাপাশি সংকট নিরসনের নানা ধরণের চেষ্টাও চলছে৷ শুক্রবার, অর্থাৎ আজই জার্মানি সফরে আসছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী দাভুতোগলু৷ ধারণা করা হচ্ছে, দাভুতোগলুর কাছে শরণার্থী সংকট নিরসনে তুরস্ককে আরো সক্রিয় এবং সহায়ক ভূমিকা রাখার অনুরোধই জানাবেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷
সিরিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কিছু দেশ থেকে আগত শরণার্থীদের বিষয়ে ম্যার্কেলের উদারনীতি সারা বিশ্বেই প্রশংসিত৷ তবে দেশে তাঁর সমালোচনা বাড়ছে৷ তাঁর দলও এ মুহূর্তে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থায়৷ তবে শরণার্থী ইস্যুতে ম্যার্কেল এখনো অনমনীয়৷ এখনো উদারনীতি অবলম্বন করেই সংকট নিরসন সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি৷
এদিকে বৃহস্পতিবারই ফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে কথা বলেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ টেলিফোন কথোপকথনের এক পর্যায়ে ওবামা জানিয়েছেন, শরণার্থী সংকট নিরসনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র জার্মানিকে সহায়তা করবে৷
তবে শরণার্থী সংকট নিয়ে আলোচনায় শরণার্থীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার নিয়ে নেয়ার বিষয়টিই বেশি আলোচনায় আসছে৷ জানা গেছে, জার্মানি, ডেনমার্ক এবং সুইজারল্যান্ডের কোথাও কোথাও শরণার্থীদের কাছে টাকা বা কোনো মূল্যবান জিনিস পেলে পুলিশ তা নিয়ে নিচ্ছে৷
জার্মানির দৈনিক ‘বিল্ড'-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাভেরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইওয়াখিম হ্যারমানও খবরটির সত্যতা স্বীকার করেছেন৷ সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বাভেরিয়ায় রাজ্যের আইন অনুযায়ীই কখনো কখনো পুলিশ শরণার্থীদের কাছ থেকে টাকা এবং স্বর্ণালংকারের মতো মূ্ল্যবান বস্তু রেখে দিচ্ছে৷ তিনি জানান, অভিবাসন প্রত্যাশীদের সব খরচের দায়িত্ব যেহেতু রাজ্য বা সরকার নেয়, সেহেতু কোনো অভিবাসন প্রত্যাশীর কাছে ৭৫০ ইউরোর বেশি অর্থ থাকলে, পুলিশ তা রেখে দিতে পারে৷
জার্মানির সব রাজ্যে অবশ্য একই আইন কার্যকর নয়৷ বাডেন-ভ্যুর্টেমব্যার্গসহ আরো কিছু রাজ্যে শরণার্থীর কাছে সাড়ে তিনশ ইউরোর বেশি থাকলে বাকি টাকা বা সম্পদ পুলিশ ওই শরণার্থী এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণের জন্যই রেখে দিতে পারে৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি, ডিপিএ)
শরণার্থীদের বিষয়ে ম্যার্কেলের উদারনীতি কি আপনি সমর্থন করেন? জানান মন্তব্যের ঘরে৷