উইগুরের পাশে হংকং
২৩ ডিসেম্বর ২০১৯উইগুরদের পতাকা নিয়ে তাদের সমর্থনে হংকং এর রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার খানেক বিক্ষোভকারী৷ সেখানে একজন মাইকে বলছিলেন, ''এটা ভুললে চলবে না, আমাদের লক্ষ্য এক৷ আমরা গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছি৷ চীনের কমিউনিস্ট পার্টি যে দমন চালাচ্ছে, আমরা তার বিরুদ্ধে লড়ছি৷'' এর মধ্য়েই পুলিশ ঢুকে গোলমরিচের গুড়ো স্প্রে করতে থাকে৷ বিক্ষোভকারীরা পাল্টা বোতল ও পাথর ছুঁড়তে থাকে৷ কিছুক্ষণের মধ্য়ে বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান৷
জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলির মতে, চীন অন্ততপক্ষে ১০ লাখ উইগুর ও অন্য মুসলিম সংখ্যালঘুদের জেলে পুরেছে বা উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের শিনজিয়াং-এ শিবিরে রেখেছে৷ চীন অবশ্য দাবি করেছে, ওই শিবিরগুলি আসলে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ শিবির৷ সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় এই শিক্ষা জরুরি৷ যেভাবে উইগুরদের বিরুদ্ধে চীন ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর তারা এই নয়া তত্ত্ব নিয়ে এসেছে৷
হংকং-এর প্রতি চীন 'এক দেশ দুই ব্যবস্থা' নিয়ে চলেছে৷ ফলে হংকং-এর লোকেরা কিছু বাড়তি স্বাধীনতা ভোগ করেন, যা মূল ভূখণ্ডের লোকেরা পান না৷ কিন্তু ক্রমশ হংকং এর লোকেদের মনে হচ্ছে, তাঁদের স্বাধীনতার ওপর চীন থাবা বসাচ্ছে এবং কিছুদিনের মধ্যেই তাদের অবস্থা মূল ভূখণ্ডের লোকেদের মতো হবে৷ তারা ওই স্বাধীনতা হারাবেন৷ হংকং এর বিক্ষেোভকারী ক্যাথরিনের দাবি, ''চীন সরকার সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ চায়৷ কোনও বিক্ষোভ বা ভিন্নমত তারা সহ্য করতে পারে না৷ শিনজিয়াং-এ যা হচ্ছে, তা হংকং-এও হবে৷'' ২০৪৭ সালে হংকং এর বিশেষাধিকার শেষ হবে৷ তখন চীনের অন্য জায়গার মতো অবস্থা হংকং-এর হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিক্ষোভকারীরা৷
জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)