ঈদের আগেই গাদ্দাফির পতন চায় বিদ্রোহীরা
২০ আগস্ট ২০১১তেল নগরী জাউইয়াহ বিদ্রোহীদের দখলে গেছে শুক্রবার৷ সেদিনই আরেক শহর জিটেন'এরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা৷ আর আজ আরেক তেল নগরী ব্রেগার পুরো দখল নেয়ার খবর দিয়েছে বিদ্রোহীরা৷ বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে এসব তথ্য৷
এর মধ্যে জাউইয়াহ দখলের বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ কেননা ত্রিপোলির মানুষ যে জ্বালানি ব্যবহার করে সেটা আসে টিউনিশিয়া থেকে৷ এবং সেটা জাউইয়াহ দিয়ে৷ কিন্তু এখন যেহেতু এই শহরের দখল বিদ্রোহীরা নিয়ে নিয়েছে তাই ত্রিপোলিতে আর জ্বালানি যেতে পারবে না৷ এতে সংকট দেখা দেবে৷ বিদ্রোহীদের আশা, এর ফলে ত্রিপোলির মানুষেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে৷
জাউইয়াহ দখলে ন্যাটো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে৷ তারা শুক্রবার নয়টি সামরিক স্থাপনায় আকাশ থেকে হামলা চালিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে৷
জানা গেছে, আশেপাশের শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর এবার বিদ্রোহীদের লক্ষ্য রাজধানী ত্রিপোলি৷
এদিকে গাদ্দাফির এক সময়ের ডান হাত বলে পরিচিত আবদেল সালাম জালুদ ত্রিপোলি ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের দখলে থাকা বেনগাজিতে চলে গেছেন৷ বিদ্রোহীদের সামরিক কম্যান্ডার কর্ণেল আহমেদ ওমর বানি বলেছেন জালুদের সঙ্গে তাঁর পরিবারও ত্রিপোলি ছেড়ে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে৷ গাদ্দাফি নিজেও ত্রিপোলি ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলেও গুজব শোনা যাচ্ছে৷
এদিকে ইটালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্কো ফ্রাতিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, ত্রিপোলির মানুষও দিন দিন গাদ্দাফির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়ে উঠবে৷ তারা বুঝবে যে, গাদ্দাফি নিজের দেশের মানুষেরই ক্ষতি করছে৷
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম ত্রিপোলিতে আটকে থাকা হাজার হাজার অভিবাসী সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে৷ এদিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রস বলছে লিবিয়ার বিভিন্ন শহরের মানবিক পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে৷
ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাজিলিয়ায় থাকা লিবিয়ার দূতাবাসে গাদ্দাফির সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতির খবর পাওয়া গেছে৷
এদিকে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে তারা লিবিয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পেতে ত্রিপোলি সহ অন্যান্য শহরে চারজনের একটি দল পাঠিয়েছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী