ইয়েমেনের সাম্প্রতিকতম সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানালো জার্মানি
২০ সেপ্টেম্বর ২০১১মঙ্গলবার রাজধানী সানার রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের ওপর চোরাগোপ্তা গুলি চালানো হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা৷ তবে কারা আড়াল থেকে ওরকম গুলি চালায়, তা এখনো স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না৷ ওদিকে, সরকারপক্ষ ত্যাগ করা একটি ব্রিগেডের চার জন যোদ্ধা সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে বিভিন্ন বার্তা মাধ্যম৷ সালেহ সমর্থক ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ঐ সংঘর্ষের সময়, গোলাগুলির শব্দে কেঁপে ওঠে রাজধানী সানা৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান যে, নিহতদের অনেকেই চোরাগোপ্তা গুলিবর্ষণে নিহত হয়৷ এমনকি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একজন রিপোর্টার জানিয়েছেন, মিছিলরত বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে সানা শহরের বিভিন্ন ভবনের ছাদ ও উঁচু তলা থেকে পরিকল্পিতভাবে গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে৷ এছাড়া, বিক্ষোভকারীদের একটি শিবিরে রকেটের তিনটি গোলার আঘাতে মঙ্গলবার সকালে নিহত হয়েছে আরো দু'জন৷
বলাই বাহুল্য, ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহ'র ৩৩ বছরের শাসন অবসানের দাবিতে গত কয়েক মাসের চলমান বিক্ষোভই এখন সহিংসতার রূপ নিয়েছে৷ গতকাল, অর্থাৎ সোমবারও বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনী ও সালেহপন্থিরা হামলা করলে, কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়৷ আহত হয় আরো ১১৩ জন৷ এর আগের দিন রবিবার, সালেহ বিরোধী বিক্ষোভ-মিছিলে গুলিবর্ষণে নিহত হয়েছিল অন্তত ২৬ জন৷
জার্মানি সহ আন্তর্জাতিক সমাজের কয়েকটি দেশ এ সহিংসতার তীব্র নিন্দা করেছে বলে প্রকাশ৷ শুধু তাই নয়, চলমান এই সহিংসতা রোধে সালেহ সমর্থক ও আন্দোলনকারী – উভয়পক্ষকেই একটি সমঝোতার পথে যেতে অনুরোধ করেছে জার্মানি৷ কিন্তু এহেন ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট সালেহ এখনও ক্ষমতা আঁকড়ে থাকায়, রাজনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে পড়েছে ইয়েমেন৷
এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এক হত্যাপ্রচেষ্টা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও মারাত্মকভাবে আহত প্রেসিডেন্ট সালেহ প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরবে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে৷
উল্লেখ্য, গত আট মাস ধরে প্রেসিডেন্ট সালেহ'র পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চলছে ইয়েমেনে৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক