বড়দিন নিয়ে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা
১৯ ডিসেম্বর ২০১৬জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘‘ইস্তান্বুল লিজেজি স্কুল কর্তৃপক্ষের অবাক করা এই সিদ্ধান্ত আমাদের বোধগম্য নয়৷ বড়দিনের আগের দিনগুলোতে পাঠদান ও আলোচনার মাধ্যমে যে আন্তঃসাংস্কৃতিক বিনিময় হতো সেটি বন্ধ করে দেয়ার বিষয়টি দুঃখজনক৷''
জার্মান নাগরিকদের করের অর্থে পরিচালিত স্কুলটির বয়স ১০০ বছরেরও বেশি৷ প্রায় ৩৫ জন জার্মান শিক্ষক কাজ করেন সেখানে৷ প্রত্যেক ডিসেম্বরে সেখানে ছোট্ট করে বড়দিন পালন করা হত আর শিক্ষার্থীদের ক্রিসমাসের ঐতিহ্য সম্পর্কে জানানো হতো৷
স্কুলের জার্মান বিভাগের প্রধান সব শিক্ষককে ইমেলের মাধ্যমে বড়দিন নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তে কথা জানান৷ ই-মেলে বলা হয়েছে, ‘‘স্কুলের তুর্কি ব্যবস্থাপনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্রিসমাসের ঐতিহ্য ও উদযাপন নিয়ে আলোচনা করা যাবে না৷ বড়দিনের গানও গাওয়া যাবে না৷ এখন থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হবে৷''
বার্তা সংস্থা ডিপিএ এই ই-মেল দেখেছে বলে জানিয়েছে৷
অবশ্য স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা বড়দিনের উৎসব বাতিল করেনি৷ তবে জার্মান শিক্ষকরা ইদানীং ‘‘যেভাবে বড়দিন ও খ্রিষ্ট ধর্ম নিয়ে ক্লাসে আলোচনা করত'' সেটি পাঠক্রমের অন্তর্ভুক্ত নয়, বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে৷
এদিকে, স্কুলের কয়েকজন জার্মান শিক্ষক জার্মানির ম্যাগাজিন ‘স্পিগেল'-কে জানিয়েছেন, তাঁদেরকে বড়দিনের গান না গাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷ এমনকি স্কুল থেকে অ্যাডভেন্ট ক্যালেন্ডারও সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষকরা৷ নাম প্রকাশ না করার শর্তে তাঁরা স্পিগেলকে এ সব কথা বলেন৷
‘গ্রহণযোগ্য নয়'
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের দল সিডিইউর ধর্ম বিষয়ক বিষয়াদির দায়িত্বে নিযুক্ত সাংসদ ইওসেফ ইয়ুং স্কুল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য' বলে মন্তব্য করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘জার্মানি যদি শিক্ষকদের অর্থায়ন করে থাকে তাহলে তাঁরা কী পড়াবেন সেটা বলারও অধিকার জার্মানির আছে৷''
এদিকে বামদলের সাংসদ জেফিম ডাগডেলেন স্কুলের এই সিদ্ধান্ত তুরস্কে ‘ইসলামি স্বৈরতন্ত্র'-এর প্রতীক বলে আখ্যায়িত করেছেন৷
জেডএইচ/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)