1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল কি মৌলিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত?

৯ এপ্রিল ২০১৯

ইসরায়েলে মঙ্গলবার ভোটযুদ্ধ শুরু হয়েছে৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি এবং সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গানৎসের ‘ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট' দল এই যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে৷ ফলাফল জানা যাবে বুধবার৷

https://p.dw.com/p/3GV6Q
Israel Wahlen Wahlplakat
ছবি: Reuters/N. Elias

ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের বিয়ার টুভিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ গানৎসের বাড়ি ফেরা উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল গত সপ্তাহে৷  প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে সেখানে তাঁর বক্তব্য স্থানীয় মানুষদের কানে সুরধারার মতো ঝরেছিল৷ এই এলাকায় বেড়ে ওঠা গানৎস বলেছিলেন, ‘‘আমরা এমন এক মন্ত্রিসভা গঠন করবো, যেখানে কট্টরপন্থি ও প্ররোচকদের কোনো স্থান হবে না৷''

সেখানে উপস্থিত সাধারণ জনগণের অনেকেই নেতানিয়াহুর বিপক্ষে তাঁদের অবস্থান জানিয়েছিলেন৷ এমনই একজন বলেছিলেন, ‘‘পরিবর্তনের সময় এসেছে৷ আমার বিশ্বাস, গানৎস সবার মধ্যে পরিবর্তনের জোয়ার বইয়ে দেবেন৷ আমি গত কয়েক মাস ধরে তাঁকে লক্ষ্য করছি এবং আমি মনে করি তিনিই হবেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী৷''

ফেব্রুয়ারিতে সাবেক সেনাপ্রধান বেনি গানৎস এবং সাবেক সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ ইয়ার লাপিদ ‘ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট' নামে একটি নতুন প্লাটফর্ম ঘোষণা করে নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন৷ নির্বাচিত হলে তাঁরা পর্যায়ক্রমে দু' বছর করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন৷ তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন আরও সাবেক দুই সেনা কর্মকর্তা৷ দেশটির নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে৷ নেতানিয়াহুর অধীনে ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চিফ অফ স্টাফের দায়িত্ব পালন করেছিলেন গানৎস৷

অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু

জনমত বিশেষজ্ঞ ডালিয়া শাইন্ডলিন জানালেন, ইসরায়েলের মানুষ ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভাবেন অর্থনীতি নিয়ে৷ জীবনযাপনে ব্যয় বাড়বে কিনা, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য কতটা কম হবে এসব চিন্তা করেই মূলত তাঁরা ভোট দেন৷ এরপরেই তাঁদের ভাবনা নিরাপত্তা নিয়ে৷ তিনি আরও বলেন, এবারে যাঁরা ভোট দিচ্ছেন তাঁদের মাথায় অবশ্য এসব চিন্তার বাইরে গত ১৩ বছরে নেতানিয়াহুর সরকারের আমলে তাঁরা কেমন ছিলেন এবং নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যেসব দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, সেটার প্রভাব বেশি পড়বে৷ সেটা চিন্তা করেই তাঁরা ভোট দেবেন৷

এদিকে, নির্বাচনের আগে থেকেই গানৎসের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আক্রমণাত্মক প্রচারণা শুরু করেন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির সদস্যরা৷ তাঁকে ‘দুর্বল বামপন্থি' হিসেবে উপস্থাপন করে তারা৷ নেতানিয়াহুর পক্ষে রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুটিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থন৷

নেতানিয়াহু নির্বাচনে যে বার্তা জনগণকে দিয়েছেন, সেটা খুব সাধারণ: তিনি এই দেশকে নিরাপদ রাখতে পারবেন, আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখা তাঁর পক্ষেই সম্ভব৷

 জেরুসালেমের মুদি দোকানদার ইলানা বেনিয়ামিন জানালেন, গত নির্বাচনে তিনি ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিলেন, কারণ নেতানিয়াহুর শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না৷ তবে তিনি মনে করেন এবার তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘ইরান, হেজবুল্লাহ আর হামাস এর কারণে আমরা জটিল পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করি৷ আমার দুই সন্তানকে সেনাবাহিনীতে দিতে হয়েছে৷ আমি রাতে ঘুমাতে পারি না৷ হয়ত বাকি বিশ্বের মানুষ আমাদের পরিস্থিতিটা বুঝতে পারবে না৷ তবে আমি মনে করি নেতানিয়াহু সবসময় সতর্কভাবে চিন্তাভাবনা করেন৷ অন্যান্য নেতাদের তাঁর মতো অভিজ্ঞতা ও বিচক্ষণতা নেই৷''

তানিয়া ক্রেমার/এপিবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য