ইরান ও অ্যামেরিকার দ্বন্দ্ব কাটাতে বৈঠক
৭ মে ২০২১অ্যামেরিকা এবং ইরানের মধ্যে গন্ডগোলের অবসান হোক। প্রয়োজনে কাতার মধ্যস্থতা করতে রাজি। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আবদুল রহমান। তার বক্তব্য, কাতারের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তেহরানের সঙ্গেও কাতারের সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে তারা চায় দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, তার দ্রুত অবসান হোক। ইরানে শান্তি ফিরলে মধ্যপ্রাচ্যে তা কাতারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হবে।
সরাসরি না হলেও ইরান এবং অ্যামেরিকার মধ্যে চতুর্থ দফার আলোচনা শুরু হয়েছে। ভিয়েনায় বৃহস্পতিবার ইরান এবং অ্যামেরিকার কূটনীতিকের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন ইউরোপ, রাশিয়া এবং চীনের কূটনীতিকরা। শুক্রবারেও তাদের বৈঠক হওয়ার কথা। কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, চতুর্থ দফার এই আলোচনাতেই পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হতে পারে। দুই দেশ আপস মীমাংসার পথে হাঁটতে পারে।
মার্কিন কূটনীতিকের অবশ্য দাবি, ইরানকে একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাদের ঠিক করতে হবে, তারা আদৌ অ্যামেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় কি না। তারা চাইলে অ্যামেরিকাও আলোচনায় বসতে রাজি। অন্যদিকে ইরানের দাবি, অ্যামেরিকাকে আলোচনার বিষয়ে আগ্রহ দেখাতে হবে।
ডনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালীন পরমাণু চুক্তি থেকে অ্যামেরিকাকে বের করে নেন। শুধু তাই নয়, ইরানের উপর একাধিক নিষেধাজ্ঞাও জারি করে অ্যামেরিকা। এরপর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হয়েছে। ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সেনাপ্রধানের উপর হামলা চালিয়েছে অ্যামেরিকা। তার মৃত্যু হয়েছে। দেশের পরমাণু বিজ্ঞানীকেও হত্যা করা হয়েছে। অন্য দিকে ইরান ইউরেনিয়াম মজুতের পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে তা আরো বাড়ানো হবে বলেও জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইউরোপ এবং অ্যামেরিকার কোনো প্রতিনিধিকে পরমাণু পরীক্ষাকেন্দ্রের ছবি পাঠানো হচ্ছে না। এই অবস্থায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশ। দুই দেশের সঙ্গে আলাদা আলাদা করে কথা বলে সমাধানসূত্র খোঁজার চেষ্টা হচ্ছে। ভিয়েনাতে সেই প্রক্রিয়াই চলছে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, আল জাজিরা)